ওয়েব ডেস্ক: ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধ (Israel-Iran War) সাময়িকভাবে বন্ধ হলেও এখনই ইরানের পরমাণু কার্যকলাপ নিয়ে হাল ছাড়তে নারাজ আমেরিকা (USA)। অন্তত ট্রাম্পের (Donald Trump) একাধিক মন্তব্যে তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে। চলতি সপ্তাহে হোয়াইট হাউসে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর (Benjamin Netanyahu) সঙ্গে সাক্ষাতের পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, তিনি চান না যুক্তরাষ্ট্র আবার ইরানে বোমা বর্ষণ করুক। সাংবাদিকদের বলেন, “আমি ভাবতেও পারি না যে সেটা আবার করতে চাইবো।”
এদিকে আবার ব্যক্তিগত আলোচনায় নেতানিয়াহু ট্রাম্পকে সতর্ক করে বলেন যে, যদি ইরান আবার পরমাণু অস্ত্র তৈরির দিকে এগোয়, তাহলে ইজরায়েল ফের সামরিক হামলা চালাবে। ট্রাম্প কূটনৈতিক সমাধানের পক্ষে মত দেন, তবে নেতানিয়াহুর বক্তব্যে কোনও আপত্তি জানাননি। অর্থাৎ, একটা বিষয় পরিষ্কার যে, আমেরিকা ইরানকে স্বাধীনভাবে পরমাণু অস্ত্র তৈরির ছাড়পত্র দিতে চায়না।
আরও পড়ুন: ত্রাণ শিবিরে ইজরায়েলি হামলা, প্রাণ হারিয়েছেন ৭৯৮ জন!
যদিও ট্রাম্প-নেতানিয়াহুর এই আলোচনায় তিন দেশের ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান ফুটে উঠেছে। আমেরিকার দৃষ্টিকোণ থেকে এটা বোঝা যাচ্ছে যে, ট্রাম্প চান ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণে কূটনৈতিক সমঝোতা হোক। এদিকে ইজরায়েল আবার বিশ্বাস করে যে, শুধুমাত্র কূটনীতি ইরানকে থামাতে পারবে না। তবে দুই দেশের হুমকির মাঝেই ইরান নিজের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার অধিকার চায় এবং নতুন কোনও আলোচনায় বসার আগে হামলার বিরুদ্ধে নিশ্চয়তা চায়।
উল্লেখ্য, আমেরিকা ও ইজরায়েলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক যৌথ বিমান হামলাগুলো ইরানের পরমাণু সক্ষমতা অন্তত দুই বছর পিছিয়ে দিয়েছে। তবে এখনও একটি স্থানে কিছু সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম রয়ে গিয়েছে। এদিকে আবার ইজরায়েলি গোয়েন্দারা বলছে, ইরান যদি পুনরায় এই ধরণের কার্যকলাপ শুরু করে এবং তা ইজরায়েলের নজরে আসে, তাহলে ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দেখুন আরও খবর: