কানাডা: দাবানলে (Wildfire) পুড়ছে কানাডার (Canada) পশ্চিমের রাজ্য অ্যালবার্টা (Alberta )। ২৪ হাজারের বেশি মানুষকে ইতিমধ্যে তাঁদের বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শনিবার থেকেই অ্যালবার্টায় জরুরু অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। কমপক্ষে ১০৩টি দাবানলের মুখোমুখি হওয়ায় আলবার্টার প্রিমিয়ার মুখ্যমন্ত্রী ড্যানিয়েল স্মিথ পরিস্থিতিটিকে ‘ভয়াবহ’ বলে অভিহিত করেছেন। নিরাপত্তা বিবেচনায় এডসনের শহরের আট হাজার বাসিন্দাকে অবিলম্বে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে বলা হয়েছে।
স্মিথ বলেন, বর্তমানে গোটা দেশজুড়ে ১১০টি জায়গায় দাবানল হচ্ছে। এরমধ্যে ৩৬টি দাবানলই নিয়ন্ত্রণের বাইরে। আগুন নেভাতে দমকলকর্মীদের বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রেড রিভার ক্রি নেশন এলাকা। প্রায় ২০টি বাড়ি ও স্থানীয় থানা পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে আগুনে। তিনি আরও বলেন, উষ্ণ ও শুষ্ক আবহাওয়ার জন্যই দাবানলের সৃষ্টি হয়েছে। এতে কমপক্ষে এক লাখ ২২ হাজার হেক্টর জমি এখন পর্যন্ত পুড়ে গিয়েছে। অনেক এলাকায় প্রবল বাতাসের ধাক্কায় আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন:Manipur Violence | মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি শশী থারুরের, বিজেপি রাজ্যের মানুষকে ঠকিয়েছে
এক আধিকারিকের কথায়, “এই অঞ্চলে দাবানল বিরল কিছু নয়। তবে বছরের এই সময়ে এত দাবানলের দাপট সাম্প্রতিক অতীতে দেখা যায়নি। যা পূর্বাভাস তাতে বোঝাই যাচ্ছে যে আরও গরম বাড়বে, হাওয়ার তোড়ও আরও তীব্র হবে। ফলে দাবানলের তীব্রতাও আরও বৃদ্ধি পাবে। পরিস্থিতি যাতে কড়া হাতে মোকাবিলা করা যায় তার জন্য কোমর বাঁধছেন আমাদের দমকল কর্মীরা।”
যদিও কানাডার ওই অঞ্চলে দাবানল প্রতি বছরই দেখা যায়। বিশেষত শুকনো গ্রীষ্মের দাপটে জঙ্গলে মাইলের পর মাইল ধরে জ্বলতে থাকা আগুন কোনও বিরল ব্যাপার নয়। তবে এবারকার পরিস্থিতি গত কয়েক বছরের চেয়ে অনেক বেশি ভয়ংকর। যেভাবে আগুন ছড়িয়েছে তাতে আতঙ্ক ক্রমেই বাড়ছে। এদিকে আবার বরফ গলার জেরে নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় সমস্যার মুখে ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশের বাসিন্দারা। নদীর পার উপচে জল ঢুকে গিয়েছে ক্র্যাশ ক্রিক এবং গ্র্যান্ড ফর্কের বহু বাড়িতে। আশঙ্কা বাড়িয়েছে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। যার জেরে সপ্তাহান্তে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই বিষয়ে প্রশাসন এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘উষ্ণতা বৃদ্ধি বরফ গলা বাড়িয়ে তুলেছে যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে জলস্তরের উপর। বৃষ্টিপাত হলে যা আরও গুরুতর রূপ নিতে পারে। বন্যার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না একেবারেই।’