ওয়েব ডেস্ক: যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে ভয়াবহ এক মৃত্যুপুরী হয়ে উঠেছে গাজা (Gaza)। সূর্য উঠলে সেখানে রোজদিন শুরু হচ্ছে হাজার হাজার মানুষের বেঁচে থাকার লড়াই। গত জুন মাস থেকে প্রতিদিন গড়ে মাত্র ১১ মিনিটের জন্য খোলা থাকছে ত্রাণ শিবির (Relief Camp)। সেই কয়েক মিনিটের মধ্যেই গাজাবাসীদের সংগ্রহ করতে হচ্ছে বেঁচে থাকার রশদ। কিন্তু এই সামান্য মুহূর্তও নিস্তরঙ্গ নয়; গুলি চলছে সমানে, ত্রাণ সংগ্রহের হুড়োহুড়িতে ঘটছে পদপিষ্ট হওয়ার মতো মর্মান্তিক ঘটনাও।
এই রক্তাক্ত বাস্তবতার মাঝে দাঁড়িয়ে শয়ে শয়ে শিশুর মৃত্যু দেখছে গাজা। সূত্র বলছে, বিগত তিন দিনে গাজায় অপুষ্টি ও অনাহারে (Starvation) প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ২১ জন শিশু। গাজার অন্যতম বৃহৎ হাসপাতাল আল-শিফা মেডিক্যাল সেন্টারের ডিরেক্টর মহম্মদ আবু সালমিয়া জানাচ্ছেন, প্রতিদিনই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে অনাহারে কাতর ছোট ছোট শিশুরা। সেখানেও দুরবস্থার ছবিটা পরিষ্কার। নেই চিকিৎসা, নেই ওষুধ, নেই পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাদ্যও।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বার্ন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সহ নার্সদের পাঠাচ্ছে ভারত
রাষ্ট্রপুঞ্জের (United Nations) সাম্প্রতিক রিপোর্টে উঠে এসেছে আরও ভয়াবহ পরিসংখ্যান। গত মে মাস থেকে এখনও পর্যন্ত ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১,০০০-এর বেশি মানুষ। ২০ লক্ষেরও বেশি মানুষ এখন তীব্র খাদ্য সংকটে।
উল্লেখ্য, গাজার এই ত্রাণ বিতরণে যুক্ত রয়েছে ইজরায়েল-সমর্থিত সংস্থা ‘গাজা হিউম্যানিট্যারিয়ান ফাউন্ডেশন’ (Gaza Humanitarian Foundation)। কিন্তু তাদের কার্যকলাপ ঘিরে উঠছে গুরুতর প্রশ্ন। চারটি নির্দিষ্ট এলাকায় তারা ত্রাণ বিতরণ করছে, যেখানে সাধারণ প্যালেস্তিনিয়দের প্রবেশ নিষিদ্ধ। বহু মানুষ কয়েক কিলোমিটার দূর থেকে পায়ে হেঁটে আসছেন সেই ত্রাণ সংগ্রহ করতে, কিন্তু ফিরছেন খালি হাতে। ত্রাণের অভাবে ধুঁকে মরছে হাজার হাজার মানুষ।
দেখুন আরও খবর: