বেজিং: চীনে তীব্র অর্থ সংকট। মানুষ ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলতে পারছে না। কারণ, ব্যাঙ্কে টাকা নেই। এর প্রতিবাদে সাধারণ মানুষ বিক্ষোভে শামিল হয়েছে। রবিবার পুলিস তাদের উপর হামলা করে বলেও অভিযোগ। যা এক কথায়, নজিরবিহীন চীনের সাম্প্রতিক ইতিহাসে। তার মধ্যেই ঝেঙঝাও শহরে সরকারি কর্মীদের দুর্নীতির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে মানুষ। হেনান প্রদেশে চারটি ব্যাঙ্ক গত এপ্রিল মাস থেকে নগদ টাকা তোলা বন্ধ রেখেছে। ফলে সাধারণ নাগরিকরা বিপাকে পড়েছেন। আর্থিক সংকটের মুখে পড়ে জনতা বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছে।
হেনানের রাজধানী ঝেঙঝাওতে একটি ব্যাঙ্কের সামনে রবিবার ক্ষুব্ধ জনতা তুমুল বিক্ষোভ দেখায়। বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল দু্র্নীতি বিরোধী প্ল্যাকার্ড এবং পোস্টার। সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা গিয়েছে, প্ল্যাকার্ড হাতে মানুষের ক্ষোভের খণ্ডচিত্র। প্রতিবাদীদের এর জন্য মাশুলও দিতে হয়েছে। হেনানের পুলিস বিক্ষোভকারীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। পুলিসের মারে অনেকের মাথা ফেটে রক্ত ঝরেছে। অভিযোগ, নির্দয় ভাবে পেটানো হয় প্রতিবাদীদের। এমনকী রেহাই পাননি বিশেষভাবে অক্ষম লোকজনও। সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে, কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী জমায়েত হয়েছিলেন। বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ চলে। তারপরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অফিসাররা ব্যাঙ্কের সিঁড়িতে বিক্ষোভরত মানুষের উপর হামলা চালান। প্রতিবাদ করায় অনেককে মারধর করা হয়।
এক মহিলা সংবাদমাধ্যমকে জানান, দুই নিরাপত্তারক্ষী তাঁকে সিঁড়ি দিয়ে মারতে মারতে নীচে নামান। ধাক্কাধাক্কিতে তাঁর হাত ভেঙে গিয়েছে। বছর সাতাশের এক যুবকের অভিযোগ, সাত-আটজন নিরাপত্তাকর্মী তাঁকে লাথি মারেন। তারপর তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
হেনানের স্থানীয় প্রশাসন এ নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, প্রশাসনের একটি অংশ ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে যুক্তি করে বিক্ষোভ দমনের কৌশল নেয়। এমনকী কোভিড পাস নিয়েও ছলনার আশ্রয় নিয়েছিল প্রশাসন। যাতে বেশি লোক বিক্ষোভে শামিল হতে না পারেন, তার জন্য অনেক কোভিড পাস লাল করে দেওয়া হয় ইচ্ছাকৃতভাবে। তা সত্ত্বেও বহু মানুষ জড়ো হয় রবিবার।