বেজিং: শুরুটা হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে। তার পর বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন (Corona China)। ভয় ধরাচ্ছে করোনার অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টও। চিনের অন্যতম শহর জিয়ানে গোষ্ঠী সংক্রমণের শঙ্কায় লকডাউন জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। ৯ ডিসেম্বর থেকে জিয়ানে কোভিড (Corona China) ছড়াচ্ছে।
লকডাউনের কারণে জিয়ান থেকে বাইরে যাওয়া এবং শহরের মধ্যে চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে চীনে এখনও কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন শনাক্ত হয়নি। লকডাউন চলাকালীন জিয়ান থেকে কাউকে বের হতে হলে তার কোভিড-১৯ পরীক্ষা করতে হবে। পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ হলে তবেই ছাড়পত্র মিলবে।
সোমবার ১৬২ জন নতুন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। যা রবিবারের তুলনায় বেশি। এর মধ্যে সানসি প্রদেশের ১০ জন রয়েছেন। সানসির রাজধানী জিয়ানের ১৩ মিলিয়ন বাসিন্দা পাঁচদিন ধরে গৃহবন্দি রয়েছেন। দূরপাল্লার বাস প্রায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শহরের মধ্যে ট্যাক্সি পরিষেবাও নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Omicron India: ২৪ ঘণ্টায় ভারতে ওমিক্রন আক্রান্ত ১৫৬, সংক্রমণ শীর্ষে দিল্লি!
শহরজুড়ে একাধিকবার গণ পরীক্ষা করার জন্যই আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বেড়েছে। রাস্তায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে নজরদারিও চালানো হচ্ছে। জিয়ান থেকে এখন পর্যন্ত ৫টি শহরে কোভিড ছড়িয়েছে। এর মধ্যে চীনের রাজধানী বেজিংও রয়েছে। সংক্রমণে রাশ টানার দিকেই আপাতত গুরুত্ব দিচ্ছেন চীন।
জিয়ান শহরে করোনা পরীক্ষার জন্য ৩০০০টি ক্যাম্প করা হয়েছে। ৪৫ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবককে কাজ লাগানো হচ্ছে। ১৭ হাজার ৫২৭ জন বাসিন্দাকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যারা কোভিড আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেছেন। ৪১ হাজার ৬৭১ জন হোটেল কোয়ারান্টিনে রয়েছেন। ২৮৩টি এলাকায় ১০টি পরিবার পিছু একজন করে নিরাপত্তারক্ষী রয়েছে।