গাজা ও জেরুজালেম: ইজরায়েল (Israel Conflict )-হামাস যুদ্ধে মৃত্যুর মিছিল ক্রমশই দীর্ঘ হচ্ছে। গাজা যেন এক মৃত্যুপুরী। গোটা তল্লাটে শুধু কান্না আর কান্না। আলজাজিরার খবর বলছে, সোমবার পর্যন্ত ইজরায়েলি হামলায় গাজায় মৃত্যু হয়েছে ২,৮০৮ জনের, আহতের সংখ্যা ১০ হাজার ৮৫৯। দখলিকৃত ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে মৃতের সংখ্যা ৫৭, আহত বারোশো। অন্যদিকে হামাসের হানায় ইজরায়েলে মৃত্যু হয়েছে ১৪০০ জনের, জখম সাড়ে তিন হাজার।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু জানাচ্ছে, গাজায় প্রায় ১১ হাজার জখমের মধ্যে অধিকাংশই শিশু এবং মহিলা। গত কদিনে গাজা স্ট্রিপে বিভিন্ন হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ইজরায়েল ১১৫ বার হামলা চালিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় সমস্ত হাসপাতাল। অবস্থা এমনই যে, খোলা আকাশের নীচে চিকিৎসা চলছে আহতদের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষগুলি বলছে, মিনিটে মিনিটে জখম রোগী আসছে। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু এবং মহিলা।
রাষ্ট্রপুঞ্জের প্যালেস্তিনীয়ান রিফিউজি এজেন্সি বলছে, গাজার সমস্ত হাসপাতালে যে জ্বালানি মজুত আছে, তাতে মাত্র ২৪ ঘণ্টা চলবে। হাসপাতালের ডাক্তাররা বলছেন, এই অবস্থা চলতে থাকলে সব হাসপাতালই মর্গে পরিণত হবে। স্থানীয়রা জানান, আইসক্রিম রাখার বাক্সে রাখা হচ্ছে শিশুদের মৃতদেহ, কারণ ফ্রিজ ঠান্ডা করার মতো অবস্থায় নেই।
আরও পড়ুন: গাজার সাধারণ মানুষকে সাহায্য করা হবে, জানালেন আমেরিকার বিদেশসচিব
এরই মধ্যে এক প্যালেস্তিনীয় চিত্র সাংবাদিক একটি ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, এক প্যালেস্তিনীয় যুবক বাড়ির ধ্বংসাবশেষ থেকে তাঁর শিশুকন্যা এবং বৃদ্ধ মাকে খুঁজে বার করার বৃথা চেষ্টা করছেন। ওই যুবকের আছাড়ি পিছাড়ি কান্নায় বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। রাফায় ইজরায়েলি বিমান হানায় এরকম বহু বাড়ি মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। তার তলায় কত মানুষের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে, কেউ জানে না।
আরও অন্য খবর দেখুন