ওয়েব ডেস্ক: শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) শাসনকালে ছিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি, আওয়ামি লিগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেই ছিলেন অন্তরালে। অবশেষে বাংলাদেশ (Bangladesh) সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রাক্তন প্রধান বিচারপতিকে (Ex Chief Justice) গ্রেফতার করল দেশের গোয়েন্দারা। বিতর্কিত রায় ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে বহু বছর ধরে আলোচনায় ছিলেন থাকা এবিএম খায়রুল হক (ABM Khairul Haque)। একাধিকবার তাঁকে গ্রেফতারের দাবি উঠেছে দেশে। কিন্তু বিগত এক বছরে তাঁর টিকিও স্পর্শ করতে পারেনি বাংলাদেশ পুলিশ।
তবে বৃহস্পতিবার ছেদ পড়ল এই অপেক্ষায়। বাংলাদেশ হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতিকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। রাজধানীর ধানমন্ডির একটি বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাঁকে মিন্টো রোডে গোয়েন্দা দফতরে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছেন ডিবি-র যুগ্ম কমিশনার মুহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম। সূত্রের খবর, খায়রুল হকের বিরুদ্ধে জালিয়াতি, রাষ্ট্রদ্রোহসহ মোট তিনটি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে অন্তত একটি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার দেখানো হতে পারে।
আরও পড়ুন: আকাশে উড়ল F-16 জেট, পাল্টা জবাব রকেটে, ফের অগ্নিগর্ভ এশিয়া?
জানা গিয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত রায়ের মূল বিচারক ছিলেন খায়রুল। তাঁর সেই রায় বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে। বিএনপি-সহ বিরোধী দলগুলি অভিযোগ করে আসছিল, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামি লিগ সরকারকে সুবিধা পাইয়ে দিতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই রায় দেওয়া হয়েছিল। এমনকি বার বার প্রশ্ন তোলা হচ্ছিল—তাঁর বিরুদ্ধে এত মামলা থাকা সত্ত্বেও কেন তাঁকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে দেশের প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হন খায়রুল হক। ২০১১ সালের মে মাসে তিনি অবসর নেন। কিন্তু এরপরেও শেখ হাসিনার সরকারের আমলে এবিএম হক আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে পুনঃনিযুক্ত হন এবং তাঁর মেয়াদ একাধিকবার বাড়ানো হয়। গত বছর আওয়ামি লিগ সরকারের পতনের পরে, ১৩ আগস্ট তিনি পদত্যাগ করেন।
দেখুন আরও খবর: