ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আদৌ তাঁর কুর্সি ধরে রাখতে পারবেন কি না, আগামী সপ্তাহেই তা নির্ধারিত হয়ে যাবে। ইমরান খানের সরকারের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন বিরোধীরা। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, আগামী শুক্রবার অনাস্থার উপর ভোটাভুটি হতে পারে। পাকিস্তানের রাজনৈতিক মহলের ধারণা, অনাস্থা ভোটে ইমরান খানের কুর্সি হারানোর সম্ভাবনা প্রবল। ফলে, ইমরান নিজেও স্নায়ুচাপে রয়েছেন।
পাকিস্তানের দু’টি প্রধান বিরোধী দলের জোট দিন কয়েক আগেই ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে। দাবি করে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে সরকার। রাজনৈতিক মহলের খবর, ইমরান খানের নিজের দল পাকিস্তান তেহরিক-এ-ইনসাফের (পিটিআই) একাধিক সাংসদও নাকি তাঁকে আর চাইছেন না। তাঁকে নিয়ে দলীয় সাংসদদের অসন্তোষের আঁচ ইমরান নিজেও পেয়েছেন। যে কারণেই তাঁর উপর চাপ বাড়ছে।
৩৪২ সদস্যের পাক পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ইমরান খান সরকারে কমপক্ষে ১৭২টি ভোট দরকার। ইসলামাবাদের সিন্ধ হাউসে ইমরানের দল পিটিআইয়ের একাধিক সাংসদ রয়েছেন। সূত্রের খবর, এই সাংসদের অনেকেই নিজের দলের বিরুদ্ধেই ভোট দেবেন।
বিরোধীদের দাবি, লোকসভার স্পিকার যে কোনও সময় অধিবেশন ডাকতে পারেন। যে কারণে দলীয় সাংসদদের ইসলামাবাদে থাকার নির্দেশ দেওয়া হতে পারে।
আরও পড়ুন: Pakistan explosions: শিয়ালকোটে একাধিক বিস্ফোরণ, জ্বলছে আগুন
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ইমরান খানের দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে পাকসেনার সঙ্গে দূরত্ব। এই অনাস্থা ইস্যুতে পাকসেনা ইচ্ছাকৃত ভাবেই ইমরানের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখছে বলে খবর।
পাক মিডিয়ার খবরে দাবি, সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া এবং আইএসআই-এর ডিরেক্টর জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল নাদিম আনজুম ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে বলেছেন। যদি সত্যি তা হয়ে থাকে, ইমরানের পক্ষে গদি ধরে রাখা মুশকিল।