কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: ইউক্রেন (Ukraine crisis) নিয়ে রাশিয়ার অনড় অবস্থানে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) সঙ্গে প্রায় একঘণ্টা ফোনে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। তার পরেও ইউক্রেন নিয়ে মনোভাব বদল হয়নি রাশিয়ার। পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে রাশিয়া-ইউক্রেনকে কেন্দ্র করে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বেধে যাওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দিতে পারছে না আন্তর্জাতিক মহল।
পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে সমাধান সূত্র না বেরোনোয়, কড়া হুঁশিয়ারি শুনিয়ে রেখেছে আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্টের জো বাইডেনের (Biden Putin phone call) হুঁশিয়ারি, রাশিয়া আর এক ইঞ্চি এগোলে যোগ্য জবাব দেবে আমেরিকা। বাইডেনের এটা মুখের কথা নয়। ইউক্রেন সীমান্তে যুদ্ধপরিস্থিতি তৈরি হওয়ায়, বাইডেনের নির্দেশে সেখানে মার্কিন (America) সেনা জড়ো করা হচ্ছে। মার্কিন বাহিনীর জন্য খাদ্যসামগ্রী, যুদ্ধাস্ত্রও মজুদ করা হচ্ছে।
President Biden spoke with President Vladimir Putin today to make clear that if Russia further invades Ukraine, the U.S. and our allies will impose swift and severe costs on Russia. President Biden urged President Putin to engage in de-escalation and diplomacy instead. pic.twitter.com/HqK0b65kFm
— The White House (@WhiteHouse) February 12, 2022
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের জেরে বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তপ্ত আন্তর্জাতিক রাজনীতি। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইউক্রেন সীমান্তে এক লক্ষ সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। এই ইস্যুতে আমেরিকা বারবার অভিযোগ করে এসেছে, বেআইনি ভাবে ইউক্রেনে প্রবেশ করতে চাইছে পুতিনের দেশ। যে কোনও মুহূর্তে হামলা চালাবে তারা।
ইউক্রেন থেকে ইতিমধ্যে কূটনীতিকদের সরাতে শুরু করেছে রাশিয়া। তাতেই আমেরিকার সন্দেহ আরও বেড়েছে। মার্কিন প্রশাসনের ধারণা, রাশিয়া যুদ্ধপ্রস্তুতি নিয়ে ফেলার কারণেই কূটনীতিকদের সরিয়ে নিচ্ছে। এই আশঙ্কা থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও তাদের নাগরিকদের অবিলম্বে ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। হোয়াইট হাউসের তরফে ৪৮ ঘণ্টার ডেডলাইনও বেঁধে দেওয়া হয়।
এই উত্তেজনার আবহেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা ফোনে কথা বলেন জো বাইডেন। হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, এই আলোচনার পরেও নিজেদের অবস্থানে অনড় রাশিয়া। পুতিনের দাবি, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। প্রত্যুত্তরে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কড়া হুঁশিয়ারি, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন দেখলেই আমেরিকা ও তার সঙ্গীরা চুপ করে বসে থাকবে না। আর একধাপ এগোলে, চরম মূল্য চোকাতে হবে রাশিয়াকে।
আরও পড়ুন: Mob Lynchings: কোরান অবমাননায় পাকিস্তানে পাথর ছুড়ে প্রৌঢ়কে হত্যা, মধ্যযুগীয় বর্বরতার নিন্দায় ইমরান
মার্কিন প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ফোন করার পরে ক্রেমলিনের বিদেশনীতি সংক্রান্ত উপদেষ্টা উরি উশাকভ বলেন, ‘যুদ্ধের জন্য রীতিমতো হিস্টিরিয়া তৈরি করা হয়েছে।’ ইউক্রেন সীমান্তে প্রচুর সেনা মোতায়েন রেখেছে রাশিয়া।
বাইডেন জানিয়েছেন, কূটনৈতিক স্তরে ইউক্রেন সীমান্তে উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা করছে আমেরিকা। তবে যে কোনও পরিস্থিতির জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তৈরি।
পুতিনের পালটা অভিযোগ, ইউক্রেন সীমান্তে যুদ্ধ নিয়ে উস্কানি দিচ্ছে আমেরিকা। তার ফলেই শুরু হতে পারে সংঘর্ষ।