কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় সকল যাত্রীরই মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে ২২জনের দেহ উদ্ধার করলেন সেনাবাহিনীর জওয়ানরা। বিমানে থাকা ব্ল্যাক বক্সটিও উদ্ধার হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বেস ক্যাম্পে আনা হচ্ছে সেই ব্ল্যাক বক্স। ঠিক কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছিল, তার তথ্য ওই ব্ল্যাক বক্স থেকেই পাওয়া যেতে পারে।
সোমবার সকাল পর্যন্ত ২১টি দেহ উদ্ধার করতে পেরেছিলেন জওয়ানরা। উদ্ধারকারী দল জানায়, এমআই-১৭ হেলিকপ্টারে খাবাংয়ের বেস স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেই দেহগুলি। অতিরিক্ত খারাপ আবহাওয়ায় দেহ উদ্ধারে বেশ বেগ পেতে হয়েছে জওয়ানদের। প্রায় ৫০-৬০ জনের উদ্ধারকারী দল সেখানো পৌঁছনোর পর দেহ উদ্ধার করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়েছে।
All 22 bodies recovered in plane crash incident
Read @ANI Story | https://t.co/KkG4P3kRHy#NepalPlaneCrash #nepalaircrash #Nepal pic.twitter.com/qktpahB9fq
— ANI Digital (@ani_digital) May 31, 2022
রবিবার সকালে নেপালের আকাশ থেকে উধাও হয়ে যায় তারা এয়ারের 9 NAET টুইন ইঞ্জিন বিমান। সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটের পর আর খোঁজ মেলেনি বিমানটির। ৪ ভারতীয়-সহ মোট ২২ জন যাত্রী নিয়ে পোখরা থেকে জমসম যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়ে যায় বিমানটি। প্রায় ৫ ঘন্টা পর পাইলটের মোবাইলের সিগন্যাল ধরে দুর্ঘটনাস্থল সম্পর্কে জানা যায়। তারপর শুরু হয় উদ্ধারকাজ। জানা যায়, ১৪ হাজার ৫০০ ফিট উপর থেকে ভেঙে পড়ে যায় বিমানটি।
ওই বিমানে ছিলেন মুম্বইয়ের চার জন। তারা এয়ারের পক্ষ থেকে ওই বিমানে থাকা যাত্রীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেই তালিকা অনুযায়ী নিখোঁজ বিমানটির চার ভারতীয় যাত্রী হলেন- অশোক কুমার ত্রিপাঠী, ধনুশ ত্রিপাঠী, ঋত্বিকা ত্রিপাঠী এবং বৈভবী ত্রিপাঠী। পোখরা বিমানবন্দরের তথ্য কর্মকর্তা দেবরাজ অধিকারী জানান, বিমানটিতে তিন সদস্যের ক্রু-এর নেতৃত্বে ছিলেন ক্যাপ্টেন প্রভাকর প্রসাদ ঘিমিরে। কো-পাইলট হিসেবে ছিলেন উৎসব পোখরেল। ওই বিমানেই এয়ার হস্টেস ছিলেন কিসমি থাপা।