ইসলামাবাদ: অনাস্থা নিয়ে পাক পার্লামেন্টে ভোটাভুটির আগে আরও চাপে ইমরান খান। চাপে– কারণ, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (PTI) সরকারের মূল জোটসঙ্গী মুত্তাহিদা কৌমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (MQM) বেঁকে বসেছে। অন্যতম বিরোধী দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির সঙ্গে তাদের সমঝোতা হয়েছে বলেও বিভিন্ন সূত্রে শোনা যাচ্ছে। এমত অবস্থায় বড় কোনও চমক ছাড়া ইমরানের (Imran Khan) পক্ষে ‘আস্থা’ অর্জন কোনও ভাবেই সম্ভব নয়। কারণ, ইমরানের পিটিআইয়ের যত জন সাংসদ রয়েছেন, শুধু তাঁদের সমর্থনে বর্তমান সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ সম্ভব নয়। ফলে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান ইমরান খানকে যদি প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি ছাড়তে হয়, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
রফায় পৌঁছতে MQM-এর সঙ্গে বিরোধীজোটের যে চুক্তি হয়েছে, তা স্বীকারও করা হয়। পিপিপি-র তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে তাদের চুক্তির বিশদ জানানো হবে। পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাবল ভুট্টো জারদারি টুইট করে এ কথা জানিয়েছেন।
Pak PM Imran Khan Loses Majority As Key Ally Strikes Deal With Opposition https://t.co/SwfiY60bgt pic.twitter.com/Fv2AH3WYQ1
— NDTV (@ndtv) March 30, 2022
পার্ক পার্লামেন্টে ইতিমধ্যে ইমরান খানের (Pakistan Tehreek-e-Insaf government) নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে বিরোধীরা। ৩১ মার্চ এই অনাস্থা প্রস্তাব ঘিরে বিতর্ক শুরু হবে। সূত্রের খবর, ৩ এপ্রিল অনাস্থার উপর ভোটাভুটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তত দিন কিন্তু প্রবল স্নায়ুচাপে থাকবেন ইমরান।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: বিজেপি বিরোধী স্তম্ভ মমতা, দিদির ‘জোট’ বার্তার পরেই দাবি কংগ্রেস সাংসদের
মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তাতে স্পষ্ট, সংসদের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে ইমরান খানের সরকার। বিরোধীরাও আত্মবিশ্বাসী, আস্থাভোটে জিততে পারবেন না ইমরান। অঙ্কের হিসেবে এই মুহূর্তে বিরোধী জোটে ১৭৭ জন সংসদ সদস্য রয়েছেন। ৩৪২ আসনের সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে দরকার ১৭২ জনের সমর্থন। ১৭৯ জন সদস্যের সমর্থন নিয়ে ২০১৮-য় জোট সরকার গড়েছিলেন ইমরান। MQM-P শাসকজোট থেকে সরে দাঁড়ানোয় ইমরানের পক্ষে রয়েছে ১৬৪ জনের সমর্থন। ফলে, প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি ধরে রাখতে হলে কমপক্ষে আরও ৮ সাংসদের সমর্থন দরকার।