ওয়াশিংটন ডিসি: ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মার্কিন নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়তে বলল আমেরিকা৷ মার্কিন প্রশাসনের আশঙ্কা, যে কোনও মুহূর্তে ইউক্রেনে হামলা করতে পারে রাশিয়া৷ শুক্রবার হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শদাতা জেক সালিভান সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাশিয়ার ১ লাখের বেশি সৈন্য ইউক্রেনে হামলার জন্য তৈরি৷ যে কোনও দিন তারা হামলা করতে পারে৷’
ইউক্রেন সীমান্তে বিরাট সংখ্যায় সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া৷ জলপথে ইউক্রেনকে ঘিরে ফেলেছে তারা৷ শুক্রবারই দক্ষিণের ক্রিমিয়াতে রাশিয়ার নৌবাহিনী মহড়া করে৷ উত্তরে বেলারুসে দশদিন ধরে সামরিক প্রশিক্ষণ চালাচ্ছে রাশিয়া৷ অর্থাৎ ইউক্রেনকে চারিদিক থেকে ঘিরে রাশিয়ার সৈন্য৷ কেউ কেউ বলছে, খুব ভেবেচিন্তে এগোচ্ছে রাশিয়া৷ যদি তারা ইউক্রেনে হামলা করে তাহলে বেলারুসের ওই সামরিক প্রশিক্ষণ শিবির থেকে সহজেই রাজধানী কিয়েভকে হাতের নাগালে নিয়ে আসতে পারবে মস্কো৷
যদিও আমেরিকার অনুমান, আকাশপথে বোমাবর্ষণ দিয়েই অভিঘাত শুরু হবে রাশিয়ার৷ তাতে ইউক্রেনের মানুষের জীবন সংশয় দেখা দিতে পারে৷ চাইলে কেউ দেশ ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে পারবেন না৷ অসহায় অবস্থায় মধ্যে পড়ে যাবেন সেখানকার মানুষ৷ ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া পেনিনসুলা অঞ্চলটির দখল নেয় রাশিয়া৷ আট বছর পর আবার আগ্রাসী হয়ে উঠেছে মস্কো৷ বেশ কয়েকমাস ধরে ইউক্রেনে হামলার প্রস্তুতি রাশিয়া নিচ্ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্বের একাধিক দেশ৷ যদিও প্রতিবেশী দেশে হামলার খবর খারিজ করে দেয় রাশিয়া৷ কিন্তু আমেরিকার সতর্কবার্তায় নতুন করে সেখানে উত্তেজনা ও অস্থিরতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে৷
আরও পড়ুন: NCB Navy Joint Operation: গুজরাতে ২০০০ কোটির মাদক উদ্ধার এনসিবি-নৌবাহিনীর
জেক সালিভান জানিয়েছেন, ২০ ফেব্রুয়ারি বেজিং অলিম্পিক্স শেষ হওয়ার আগেই রাশিয়ার সেনা হামলা করবে৷ বিমান থেকে মিসাইল ছুড়বে৷ তাতে নিরীহ নাগরিকদের মৃত্যু হতে পারে৷ তাই ইউক্রেনে থাকা মার্কিনিরা যেন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সেদেশ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন৷ যদিও তিনি নিশ্চিত নন যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সেনাবাহিনীকে ইউক্রেনে হামলার সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে কিনা৷ কিন্তু যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে যে কোনও সময় ইউক্রেনে আছড়ে পড়তে পারে রাশিয়ার অভিঘাত৷