কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: করোনার থাবা কিছুদিন আগে থেকেই মিটছিল। একটু যেন স্কুলে যাওয়ার লোভ হচ্ছিল। ঠিক তখনই বোমারু বিমানের আলতো ছোঁয়া বুঝিয়ে দিল, স্কুলের দরজা আপাতত বন্ধ। রক্তাক্ত শিশু মুখের সেই ভাইরাল ছবিটা বুঝিয়ে দিচ্ছে, এই ইউক্রেন সেই ইউক্রেন নয়। গত ৩ দিন ধারাবাহিক রুশ হামলায় শিকেয় উঠেছে কিভ, ওডোসোর পঠনপাঠন।
ধারাবাহিক রুশ বোমারু বিমানের হামলায় কোথাও স্কুলবাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে গিয়েছে। বসার ছোট ছোট বেঞ্চ ধুলোয় মিশে গিয়েছে। প্রতিটি স্কুলে অনির্দিষ্টকালের জন্য পঠনপাঠন বন্ধের নোটিস দেওয়া হয়েছে। কবে যুদ্ধ থামবে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, কেউ জানে না।
শনিবার সকাল। যুদ্ধ বিধ্বস্ত শহরটার সবে ঘুম ভাঙছিল। দুটো বড় বড় রুশ মিশাইল আছড়ে পড়ল দক্ষিণ-পশ্চিম কিভের বহুতলটাতে। মিশাইলের ধাক্কায় গুঁড়িয়ে যেতে লাগল বাড়িটা। গত দু-তিনদিন এমনই শয়ে-শয়ে ছবি প্রত্যক্ষ করেছে ইউক্রেন। যে তালিকায় রয়েছে, স্কুল, অফিস, বসতবাড়িও। যদিও রুশ প্রশাসনের দাবি, সেনা ঘাঁটি ছাড়া আর কিছুই টার্গেট করা হয়নি।
আরও পড়ুন: Russia-Ukraine Conflict: যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ব্রিটেনের সঙ্গে সামরিক মহড়ায় পিছিয়ে এল দিল্লি
বাস্তব কিন্তু অন্য কথায় বলছে। রাস্তার চারপাশে শুধু ধ্বংসস্তুপ। ভেঙে পড়েছে বহু অট্টালিকা। ইউক্রেনের একটি সূত্র দাবি করছে, পাল্টা আক্রমণ তারাও হেনেছে। তাদের হামলায় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার রুশ সেনার মৃত্যু হয়েছে। বন্দি ২০০-র বেশি। ১০০-র বেশি রুশ ট্যাঙ্কার ধ্বংস হয়েছে।
নথি, তথ্য, পাল্টা তথ্য সবই আছে। কিন্তু শৈশবগুলো যেভাবে গৃহবন্দি হয়ে গিয়েছে, বোমারু বিমানের শব্দে যেভাবে ঘুম ভাঙছে, তাতে আগামী প্রজন্ম কী বার্তা বয়ে আনবে, এটাই যেন বড় প্রশ্ন।