কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: আন্তর্জাতিক আদালতে চিঠি লিখল ইউক্রেন। রাশিয়ার বিরুদ্ধে এক তরফা আগ্রাসনের অভিযোগ জানিয়ে এই চিঠি। অবিলম্বে বিচার চাইল। হামলা বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়ার আর্জি জানাল আন্তর্জাতিক আদালতে। আগামী সপ্তাহ থেকে বিচার শুরু করার আবেদনও জানাল।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট টুইটারে লিখেছেন, আন্তর্জাতিক আদালতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছে ইউক্রেন। আগ্রাসনকে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য গণহত্যার ধারণাকে কাজে লাগানোয় রাশিয়াকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। রাশিয়াকে এখনই সামরিক কার্যকলাপ বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি। আগামী সপ্তাহের মধ্যে বিচার শুরু হবে বলে আশা করছি।
আমেরিকা ও নেটোর হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও ইউক্রেনে সামরিক অভিযান জারি রেখেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ভারতীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ইউক্রেনের ভূখণ্ডে সেনা অভিযান শুরু করে রাশিয়া। তার পর থেকে অভিযান জারি রেখেছে রুশ বাহিনী। শুক্রবার দুপুরে রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে বসার প্রস্তাব দিলেন কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বেঁকে বসে ইউক্রেন।
ইউক্রেনের রাজধানী কিভে রুশ বাহিনীর আগ্রাসনকে রুখে দিতে নানান ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হচ্ছে৷ ইউক্রেনের সেনারা কামান-বিমান দিয়ে হামলা চালাচ্ছে৷ সোমবার পর্যন্ত কিয়েভে কারফিউ জারি করা হয়েছে৷ দেশের নাগরিকদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমেরিকা যে প্রস্তাব দিয়েছিল, তা অস্বীকার করেন ইউক্রেন প্রেসিডেন জেলেনস্কি৷ অস্ত্র ও ওষুধ চেয়ে পাঠিয়েছেন তিনি৷ বহু সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷
Ukraine has submitted its application against Russia to the ICJ. Russia must be held accountable for manipulating the notion of genocide to justify aggression. We request an urgent decision ordering Russia to cease military activity now and expect trials to start next week.
— Volodymyr Zelenskyy / Володимир Зеленський (@ZelenskyyUa) February 27, 2022
ফ্রান্স, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানি ইউক্রেনকে রাশিয়ার আক্রমণ ঠেকাতে প্রয়োজনীয় সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তিন দিনে ৪৩০০ রুশ সেনার মৃত্যু হয়েছে। রবিবার এমনটাই দাবি করেন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হান্না মালওয়ার। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন শান্তি চায়৷ কিন্তু বেলারুশে আলোচনা সম্ভব নয়৷ কারণ, রাশিয়া বেলারুশকে আক্রমণের জন্য ব্যবহার করছে। ওয়ারশ, ইস্তাম্বুল, বাকু ইত্যাদি শহরে আলোচনা হতে পারে।
