কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: ইউক্রেনে দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে গ্যাস পাইপ লাইন উড়িয়ে দিয়েছে৷ এরফলে বিস্ফোরণে ধোঁয়া ‘পরিবেশগত বিপর্যয়’ ঘটাতে পারে৷ ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির কার্যালয়ের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে৷
আমেরিকা ও নেটোর হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও ইউক্রেনে সামরিক অভিযান জারি রেখেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ভারতীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ইউক্রেনের ভূখণ্ডে সেনা অভিযান শুরু করে রাশিয়া। তার পর থেকে অভিযান জারি রেখেছে রুশ বাহিনী। শুক্রবার দুপুরে রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে বসার প্রস্তাব দিলেন কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বেঁকে বসে ইউক্রেন। শনিবারই ইউক্রেনে সব দিক থেকে হামলার নির্দেশ দেওয়া হয় রুশ বাহিনীকে৷
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনে ইতিমধ্যে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ যদিও ইউক্রেন দাবি করেছে যে, তার সেনাবাহিনী ১০০০ এরও বেশি রাশিয়ান সেনাকে হত্যা করেছে৷ রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বলেছে যে, তাদের সেনারা ইউক্রেনের ২১১ সামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করেছে। রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি রয়েছে ইউক্রেন৷ কিন্তু অযৌক্তিক দাবি করলে চলবে না বলে জানিয়েছেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের প্রধান উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক৷ তিনি বলেন, ‘‘ইউক্রেন রাশিয়ান ফেডারেশনের সঙ্গে আলোচনা করতে অস্বীকার করে না৷ তবে অগ্রহণযোগ্য শর্ত এবং আল্টিমেটাম ছাড়াই শুধুমাত্র একটি পূর্ণাঙ্গ আলোচনা প্রক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত ইউক্রেন৷’’
রাশিয়ান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘ইউক্রেনীয় পক্ষ আলোচনা প্রক্রিয়া প্রত্যাখ্যান করার পরে, আজ সমস্ত ইউনিটকে অপারেশনের পরিকল্পনা অনুসারে সমস্ত দিক থেকে অগ্রিম বিকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।’’
আরও পড়ুন-Russia-Ukraine War Live: আলোচনায় যেতে নারাজ ইউক্রেন, “সব দিক” থেকে হামলার নির্দেশ রুশ সেনাকে
কিয়েভ-বেলারুশ আলোচনা অস্বীকার করতেই রাশিয়ান সেনাবাহিনীকে ইউক্রেনে “সব দিক” থেকে আক্রমণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে আগ্রাসনের তৃতীয় দিনে কঠোর প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়ে রাশিয়ান বাহিনী ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে আক্রমণ করেছে।