ওয়েব ডেস্ক: এশিয়ার এক প্রান্ত শান্ত হতে না হতেই উত্তেজনা ছড়াল আরেক প্রান্তে। এবার সম্মুখ সমরে থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়া (Thailand-Cambodia Conflict)। দুই দেশের তরফেই ইতিমধ্যে হামলা চালানো হয়েছে। ঘন ঘন চলছে গুলিগোলা। তার জেরে ফের একবার অশান্ত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। এই সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যাটা অনেক। ইতিমধ্যে দেশের একাধিক স্থানে জারি হয়েছে ইমারজেন্সি।
সংঘর্ষের সূত্রপাত বৃহস্পতিবার ভোরে। এদিন উত্তর-পশ্চিম কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী প্রেট ভিয়েরা প্রদেশে থাইল্যান্ড সেনার (Thailand Army) উপর আচমকা হামলা চালায় কম্বোডিয়ার সেনা (Cambodia Army)। ভারী কামান এবং রাশিয়ার নির্মিত বিএম-২১ গ্রাড মাল্টিপল রকেট লঞ্চার দিয়ে আঘাত হানা হয় থাই দেশে। প্রাথমিক আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় থাইল্যান্ড সেনাঘাঁটি ও পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলি। তবে দ্রুত প্রত্যাঘাত শুরু করে থাই বায়ুসেনা। ছ’টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান থেকে পাল্টা আক্রমণ চালানো হয় বলে সেনা সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সংঘাত! অ্যাডভাইজারি জারি ভারতীয় দূতাবাসের
এই অবস্থায় সেই দেশে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের উদ্দেশে সতর্কতা জারি করেছে থাইল্যান্ডে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস। ভারতীয় দূতাবাসের তরফে শুক্রবার একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সীমান্তঘেঁষা অন্তত সাতটি প্রদেশে যাতায়াত এড়িয়ে চলতে হবে। শুধু পর্যটক নয়, সেদেশে বসবাসকারী ভারতীয়দেরও উত্তেজনাপ্রবণ এলাকা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশ এবং থাইল্যান্ড সরকারের পরামর্শ মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিতর্কিত ‘পান্না ত্রিভুজ’ (Panna Triangle) অঞ্চল নিয়ে ফের দখলদারির লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছে ব্যাঙ্কক ও নম পেন। থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া এবন লাওস- এই তিন দেশের সীমান্তে অবস্থিত এই ভূখণ্ড নিয়ে ১৯৬২ সালে আন্তর্জাতিক আদালতের রায় কম্বোডিয়ার অনুকূলে গিয়েছিল। কিন্তু চলতি বছরের মে মাসে কম্বোডিয়া সেনা ওই অঞ্চলে শিবির এবং পরিখা নির্মাণ শুরু করলে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়।
দেখুন আরও খবর: