নয়াদিল্লি: কোভিডের জন্য দু’বার ভারত সফর বাতিল করেছেন তিনি৷ অবশেষে চলতি মাসেই ভারতে আসতে চলেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন৷ গত মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর৷ অনেকদিন ধরেই দুই দেশের মধ্যে অবাধ বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে৷ সেই আলোচনাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে দুই রাষ্ট্রনেতা এবার মুখোমুখি বসতে চান৷ যে কারণে ভারতে আসতে পারেন বরিস জনসন৷ ব্রিটেনের সঙ্গে অবাধ বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আগ্রহী ভারতও৷ এর জেরে আর্থিক মন্দা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানো ভারতের অর্থনীতিতে সুদিন ফিরতে পারে বলে আশাবাদী নর্থ ব্লক৷ তাই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সফরের দিকে তাকিয়ে দিল্লিও৷ যদিও ভারত বা ব্রিটেনের কেউই বরিসের সফর নিয়ে সরকারিভাবে মুখ খোলেননি৷ সূত্রের খবর, ২২ এপ্রিল ভারতে আসতে পারেন তিনি৷
গত সপ্তাহে বরিসের ভারত সফর নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছিল৷ ডাউনিং স্ট্রিটের একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছিল, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসতে আগ্রহী প্রধানমন্ত্রী জনসন৷ এর আগে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বরিস জনসনকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল দিল্লি৷ কিন্তু কোভিডের জন্য তা বাতিল করেন তিনি৷ শোনা গিয়েছিল, বরিস জনসন এপ্রিলে আসতে পারেন৷ কিন্তু তখন ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছিল৷ যে কারণে সফর বাতিল করতে বাধ্য হন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী৷
বারবার সফর বাতিল হলেও দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা থেমে থাকেনি৷ ২০২১ সালের মে মাসে একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দেন মোদি ও বরিস৷ সেখানে দুই দেশই ১০ বছরের একটি রোডম্যাপ পলিসি গ্রহণ করে৷ বাণিজ্য, অর্থনীতি, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা ও পরিবেশ সংক্রান্ত ব্যাপারে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে বলে জানায়৷ সেই বছর নভেম্বরে গ্লাসগোয় জলবায়ু সম্মেলনে দেখা হয়েছিল দুই রাষ্ট্রনেতার৷ ওই রোডম্যাপ নিয়ে কথা হয় তাঁদের মধ্যে৷
আরও পড়ুন: Bucha Genocide: ইউক্রেনের বুচায় নাগরিকদের কবর দেওয়ার ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ বললেন জেলেনস্কি