ওয়েব ডেস্ক: পৃথিবীর জীববৈচিত্র্যকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন (Climate Change)। সমুদ্রের তলদেশের সুন্দর প্রবাল প্রাচীরও (Coral Reef) এখন ধ্বংসের মুখে। একসময় যেগুলো ছিল জলতলের রঙিন দুনিয়া, স্কুবা ডাইভিং-সহ নানা অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের অন্যতম আকর্ষণ, আজ সেই প্রবাল দ্বীপগুলি যেন ম্লান এক অন্ধকার দুনিয়া। পরিবেশপ্রেমীদের কাছে যা মন খারাপের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ার (Australia) পশ্চিম উপকূলে নিনগালু ও কিম্বারলির রোলি শোলসের প্রবাল প্রাচীরকে দীর্ঘদিন ধরেই সবচেয়ে সুরক্ষিত বলে মনে করা হত। কিন্তু ২০২৪ সালের অগাস্ট থেকে ২০২৫ সালের মে পর্যন্ত সমুদ্রের জলের তাপমাত্রা নজিরবিহীনভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে সেই প্রাচীরগুলিতেও শুরু হয়েছে ব্যাপক ক্ষতি।
আরও পড়ুন: মহাকাশের পর জল-দুনিয়ায় ইতিহাস লিখল ভারত!
অস্ট্রেলিয়ান ইনস্টিটিউট অফ মেরিন সায়েন্সের সমীক্ষা জানাচ্ছে, এবারই সবচেয়ে বড় আকারে প্রবাল ‘ব্লিচিং’ বা সাদা হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। প্রায় ১,৫০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় যে প্রবাল একসময় অক্ষত ছিল, তাতেও ধ্বংসের ছাপ স্পষ্ট। উল্লেখযোগ্যভাবে, নিনগালু প্রবাল প্রাচীরকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ (UNESCO World Heritage Site) ঘোষণা করেছিল ইউনেসকো, ঠিক যেমন পূর্ব অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত গ্রেট বেরিয়ার রিফ। কিন্তু এই অভূতপূর্ব ক্ষতির পর তার ভবিষ্যৎও অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে।
যদিও রাষ্ট্রপুঞ্জ আগেই জানিয়েছিল যে, সমুদ্রের গড় তলদেশীয় তাপমাত্রা প্রায় দেড় ডিগ্রি বেড়েছে। এর ফলে আগামী কয়েক দশকে পৃথিবীর ৭০ থেকে ৯০ শতাংশ প্রবালই ধ্বংসের মুখে পড়তে পারে। সেই ভবিষ্যদ্বাণীই এবার সত্যি হতে দেখা যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রবালের মৃত্যু মানেই শুধু সৌন্দর্যের ক্ষতি নয়, এটি সমুদ্রতলের বাস্তুতন্ত্র ভেঙে পড়ার ইঙ্গিত। এই রঙিন প্রবালের মায়াজাল কি তবে চিরতরে হারিয়ে যাবে? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।
দেখুন আরও খবর: