Wednesday, August 13, 2025
Homeপ্রযুক্তিShort Message Service (SMS): ইতিহাসটা আজও ‘ইন্টারেস্টিং’, পৃথিবীর প্রথম ‘টেক্স মেসেজ’ ছিল...

Short Message Service (SMS): ইতিহাসটা আজও ‘ইন্টারেস্টিং’, পৃথিবীর প্রথম ‘টেক্স মেসেজ’ ছিল মাত্র দুই শব্দের

Follow Us :

এসএমএস (SMS)। ছোট্ট একটা শব্দ। কিন্তু এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে সমৃদ্ধশালী ইতিহাস (Rich History)। রয়েছে বিবর্তনের কাহিনি (Evolution Story)। সময়ের ছন্দে এসএমএস আজ কোণঠাসা। মোবাইল ফোনের এক সময়কার গ্রেটেস্ট ফিচার আজ নিতান্তই শ্রেফ একটা ফিচার মাত্র। গুরুত্ব আছে বটে, নইলে অস্তিত্ব কেন টিকিয়ে রাখতে সম্ভব হবে!কিন্তু জানেন কি দেখতে দেখতে তিন ৩০ বছর পার হয়ে গেল প্রথম এসএমএস পাঠানোর?পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম ব্যক্তি কে যিনি টেক্সট মেসেজ (Text Message) পাঠিয়েছিলেন? 

আরও পড়ুন: Hera Pheri 3: দূরত্ব মেটাতে নিজেই উদ্যোগী ফিরোজ, ‘রাজু’র চরিত্রে ফিরছেন অক্ষয়!

পৃথিবীর প্রথম এসএমএস কী ছিল?

সালটা ১৯৯২। নিল প্যাপওয়ার্থ (Neil Papworth), এই ব্রিটিশ সফটওয়্যার প্রোগ্রামারের (British Software Programmer) বয়স তখন ২২ বছর। তবে ফোন (Mobile Phone) থেকে নয় কম্পিউটার (Computer) থেকে তিনি তাঁরই এক সহকর্মী রিচার্ড জার্ভিস (Richard Jarvis) নামের এক ব্যক্তিকে প্রথম টেক্সট মেসেজ পাঠিয়েছিলেন। সেদিন থেকেই শুরু হয়েছিল ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের এক যুগান্তকারী অধ্যায়ের। নিল তখন তাঁর ক্লায়েন্ট মোবাইল ক্যারিয়ার ভোডাফোন (Vodafone)-এর জন্য ডেভেলপার অ্যান্ড টেস্ট ইঞ্জিনিয়ার (Developer and Test Engineer) হিসেবে কাজ করছেন শর্ট মেসেজ সার্ভিস (Short Message Service – SMS) সৃষ্টির জন্য। 

মাত্র দু’টি শব্দের বার্তা। নিল তাঁর সহকর্মী রিচার্ডকে লিখলেন ‘মেরি ক্রিসমাস (Merry Christmas)’। তারিখটা ছিল ৩ ডিসেম্বর। ডিসেম্বর মাসটা এই কারণে মোবাইলের ইতিহাসে এতটা গুরুত্বপূর্ণ। তার ঠিক এক বছর পর, অর্থাৎ ১৯৯৩ সালে বিখ্যাত মোবাইল নির্মাতা সংস্থা নোকিয়া (Nokia) তাদের ফোনের ইনকামিং মেসেজের জন্য ‘বিপ (Beep)’ শব্দের ফিচার নিয়ে আসে। যা আজও অপূরণীয় (Irreplaceable)।

প্রথম দিকে টেক্স মেসেজ সীমিত ছিল ১৬০ ক্যারেক্টারে (160 Character)। সেই থেকেই ‘টেক্সট স্পিক (txt spk)’-এর চল শুরু। যেমন –  লাফিং আউট লাউড হয়ে গেল লল (LOL – laughing out loud)। বড় শব্দ ছোট করে উচ্চারণ করার চল আবার অনুপ্রাণিত করেছিল আজকের অন্যতম জনপ্রিয় ফিচার ইমোজি (Emoji) সৃষ্টির। তবে আজকে আমরা যাকে এসএমএস হিসেবে চিনি, তার সূচনা পৃথিবীর প্রথম টেক্সট মেসেজ পাঠানোর সাত বছর পর ১৯৯৯ সালে। ওই বছর থেকেই বিভিন্ন মোবাইল নেটওয়ার্কে এসএমএস আদান-প্রদান (SMS Send and Receive) শুরু হয়। 

ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং ভিড়ে এসএমএস?

সময়ের ছন্দে এসএমএস ফিচার (SMS Feature) আজ মোবাইলে প্রায় অচল হয়ে পড়লেও গুরুত্ব কিন্তু হারায়নি। কারণটা আমরা নিজেরাও জানি। রোজই আমরা কোনও না কোনও প্রোমোশনাল এসএমএস (Promotional SMS) পাই। আবার কোথাও লগইন করতে হলে ওটিপি (OTP) পেতে ওটাই ভরসা। একটি ব্রিটিশ সমীক্ষা (British Survey) বলছে, প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন অন্তত এসএমএস পাঠান। হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp), সিগন্যাল (Signal), টেলিগ্রাম (Telegram), স্কাইপ (Skype) – এসবের যুগেও জনসংখ্যার ২০ শতাংশ মানুষ এখনও এসএমএস পাঠান। আর সবচেয়ে বড় কথা হল, যেখানে ইন্টারনেট কানেকশন (Internet Connection) সেভাবে স্ট্রং নেই কিংবা প্রিপেইড কানেকশন (Prepaid Connection) যাঁরা ব্যবহার করেন, তাঁদের কাছে ডেটা সীমাবদ্ধতা একটা বড় বিষয়। জরুরি কাজে তখন কিন্তু সেই এসএমএস সার্ভিসই বিরাট ভরসা।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Video thumbnail
SIR | Congress | কংগ্রেসের SIR প্রতিবাদ, রাজভবনের সামনে তু/লকা/লা/ম কাণ্ড, দেখুন Live
02:04:16
Video thumbnail
Supreme Court | DA মামলার শুনানি শুরু সুপ্রিম কোর্টে, কী আছে কর্মচারীদের ভাগ্যে? দেখুন সরাসরি
02:21:06
Video thumbnail
Israel | কোল্ড ব্লা/ডে/ড মা/র্ডা/র, সাংবাদিক হ/ত‍্যা নিয়ে ইজরায়েলকে তুলোধোনা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর
01:33:55
Video thumbnail
ISRO | মৃ/ত অর্থনীতির দেশ! ইসরোর হাত ধরেই মহাকাশে পাড়ি মার্কিন স্যাটেলাইটের, এবার কী বলবেন ট্রাম্প?
01:35:51
Video thumbnail
Donald Trump | রাশিয়া-ইউক্রেনের যু/দ্ধ থামানো নিয়ে এ কি বললেন ট্রাম্প? শুনলে আপনিও বলবেন…
03:27:10
Video thumbnail
Good Morning Kolkata | সকালের গুরুত্বপূর্ণ খবর, দেখুন একনজরে সরাসরি
03:22:51
Video thumbnail
Bibhas Adhikari | বিভাস অধিকারীর 'প্রাইভেট থানা' কাণ্ডে নাম জড়াল বিজেপি নেতা দেবাশিস ধরের
03:48:00
Video thumbnail
Politics | বিজেপির বিধায়ক গোলমালে এবার ভোটার লিস্টে নাম নেই বাবা-মার
04:41
Video thumbnail
Politics | মোদি-শাহকে দেবে খবর বঙ্গে গেরুয়া গুপ্তচর
03:31
Video thumbnail
Politics | শেষ হলে সংসদে বাদল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় রদবদল
04:21