ওয়েব ডেস্ক: আগামী অর্থবর্ষে জিডিপি বৃদ্ধির হার ৬.৩ থেকে ৬.৮ শতাংশ থাকবে। যা করোনা পরবর্তী অর্থবর্ষগুলির মধ্যে সব থেকে কম হতে চলেছে। খাদ্যে মুদ্রাস্ফীতি (Inflation) এই আর্থিক বছরের মধ্যে কমবে। এর ফলে আর্থিক বৃদ্ধি আগামী অর্থবর্ষেও কম থাকছে। শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থনৈতিক সমীক্ষাতেই (Economic Survey 2024-25) ওই পূর্বাভাস। ২০২০-২১ সালে দেশের জিডিপির (GDP) হার ছিল ৯.৭ শতাংশ। ২০২২-২৩ সালে ছিল ৭ শতাংশ। গত অর্থবর্ষে ছিল ৮.২ শতাংশ। শনিবার কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট পেশ হবে। তার আগে এদিন সংসদে অর্থনৈতিক সমীক্ষার রিপোর্ট পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)।
ওই সমীক্ষা অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক চাহিদা কম থাকায় ও দেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি বিচার করে উৎপাদন ক্ষেত্র চাপে ছিল। তবে ঘরোয়া অর্থনীতির মূল বিষয়গুলি সুদৃঢ়। ব্যক্তিগত স্থিতিশীল খরচের মতো বিষয়গুলি বিবেচনা করে আগামী ২০২৬ অর্থবর্ষে আর্থিক বৃদ্ধির হার হবে সর্বোচ্ছ ৬.৮ শতাংশ। তবে সমীক্ষাতে দাবি করা হয়েছে ঘরোয়া চাহিদার জন্যই ব্যক্তিগত খরচ স্থিতিশীল রয়েছে। আর্থিক শৃঙ্খলা সহ বিভিন্ন কারণে বাইরের অনিশ্চয়তার মধ্যেও এই আর্থিক বৃদ্ধির হারের সুদৃঢ় ভিত্তি। খাবারে যে অত্যধিক মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে তা এই বছরের শেষে ত্রৈমাসিকে ঠিক হবে। সব্জির দামি কম হবে ও খরিফ শস্যের আগমনের জন্য এটা সফল হবে। একইভাবে রবিশস্য ২০২৬ সালের প্রথম বর্ষে খাদ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখবে।
আরও পড়ুন: বাজেট নিজেই ‘গুপ্তধন’, সংসদে পেশের আগে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা, জানুন কীভাবে হয় গোপনীয়তা রক্ষা?
এই সমীক্ষাতে জানানো হয়েছে বিনিয়োগে ধীরগতি ছিল। তবে শিল্পনীতি এবং ব্যবসায়িক আবেগের বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে ভালো পদক্ষেপের ফলে বিনিয়োগের পরিস্থিতি ফিরে আসবে। বলা হয়েছে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার কথা মাথায় রেখে দেশের তৃণমূল স্তরে কাঠামোর সংস্কারে প্রয়োজনীয়তাও। সরকারি স্তরে সঠিক রুপরেখা না হলে এআইয়ের অপব্যবহার হতে পারে। সমীক্ষাতেও দাবি করা হয়েছে ডলার শক্তিশালী হওয়ার কারণে ২০২৪ সালে টাকার মান কমেছে। এছাড়া সমীক্ষা অনুযায়ী, স্থিতিশীল অর্থনৈতিক পদক্ষেপ, পরিকাঠামোর উন্নতি, সরকারি নীতি বৃদ্ধিকে উজ্জীবিত করবে। বৃহৎ অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ভারতের অর্থনীতির প্রসার ঘটবে। মুদ্রাস্ফীতির নিয়ন্ত্রণ, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, বেসরকারি বা ব্যক্তিগত চাহিদাতেই এটা সম্ভব হবে।
দেখুন অন্য খবর: