কলকাতা: প্রায় সাত লক্ষ আবেদনপত্র জমা পড়ল প্রাথমিক টেট পরীক্ষার জন্য। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার শেষদিন রাত ১২টা পর্যন্ত প্রায় ৬ লক্ষ ৯০ হাজার আবেদন জমা পড়ে। ২০১৭ সালে টেটে আবেদনপত্র জমা পড়েছিল ২ লক্ষ ৪৫ হাজার ৩৪৪টি। এবার আবেদন বেড়েছে ৪ লক্ষ ৪৪ হাজার ৬৫৬টি। আগামী ১১ ডিসেম্বর রাজ্যে টেট পরীক্ষা হতে চলেছে। তার আগে যাবতীয় ব্যবস্থা নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এত বেশি সংখ্যক পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা যাতে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়, তার জন্য যাবতীয় ব্যাবস্থা আগেই সেরে ফেলতে চাইছে পর্ষদ।
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের গ্রেফতারির পর রাজ্য সসরকারের তরফে গৌতম পালকে নতুন সভাপতি করা হয়। এরপরই তিনি ঘোষণা করেন, এখন থেকে বছরে দুবার প্রাথমিকের টেট হবে। পাশাপশি কোনও দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না। সেই মতো রাজ্যের ১১ হাজার ৭৬৫টি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। রাজ্যে প্রাথমিক স্তরে পরীক্ষা নিয়ে নানা অভিযোগ ওঠার পর এই দফায় পরীক্ষাকেন্দ্রে ভুয়ো পরীক্ষার্থী ধরতে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
আরও পড়ুন:Education Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে আরও অনেক প্রভাবশালী আছেন, বিস্ফোরক বিচারপতি
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের পর রাজ্যে আর টেট পরীক্ষা হয়নি। নিয়োগ দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে গত কয়েক বছর ধরেই টেট নিয়ে জলঘোলা চলছে। আদালতের নির্দেশে সিবিআই এবং ইডি দুর্নীতির তদন্তেও নেমেছে। সেই তদন্তের সূত্রেই ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। আগেই তাঁকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
অবশ্য একইসঙ্গে নিয়োগে স্বচ্ছতা বজায় রাখার লক্ষ্যে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আবেদনকারীদের সুবিধার্থে জেলাওয়ারি শূন্যপদের তালিকাও একইসঙ্গে প্রকাশ করা হবে, জানিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে।