কলকাতা: ফের সিবিআইয়ের (CBI) তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিচারক। মঙ্গলবার চন্দন মণ্ডলকে (Chandan Mandal) আলিপুর আদালতে তোলা হলে আদলাতের প্রশ্নের মুখে পড়ে সিবিআই (CBI)। বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, চার মাস ধরে চন্দনকে আপনারা বাইরে রেখেছিলেন। তিনি তদন্তে সহযোগিতা করেছেন। হঠাৎ করে এমন কী হল যে, চন্দন দোষী হয়ে গেল? আপনারা এত কিছুর পর চন্দনের থেকে আর কিছু জানতে চাইছেন না? পুলিশ হেফাজত চাইছেন না। জেল হেফাজত চাইছেন কেন? আবার এখন বলছেন, তিনি সহযোগিতা করছেন না। তাহলে এত প্রমাণ পেলেন কীভাবে? আপনাদের কথার মধ্যেই অসঙ্গতি রয়েছে। এর উত্তরে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, চন্দন অনেক কিছু চাপা দিতে চাইছেন। সব খুলে বলছেন না।
বিচারক আরও বলেন, এর আগে চন্দনকে চারটে নোটিস পাঠিয়েছেন। তারপরও গ্রেফতার করেননি। তাঁকে বাইরে থাকতে দিয়েছেন আপনারাই। হঠাৎ করে আপনাদের মনে হল, একে জেলে ঢোকাতে হবে। ন’মাস সময় লাগল চন্দনকে দোষী প্রমাণ করতে? সিবিআইয়ের তরফে বলা হয়, মিডলম্যান যেই আসছে তাদের কাছে থেকে পাঁচ থেকে ১৫ কোটি টাকা পাওয়া যাচ্ছে। এই বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের মধ্যে চন্দনের ভূমিকা আছে। চন্দন অযোগ্য চাকরি প্রার্থীদের থেকে টাকা তুলে নিজের অ্যাকাউন্টে রাখতেন। সেখান থেকে টাকা তুলে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে ফেলা হত। এক জায়গা থেকে টাকা তুলে অন্য জায়গায় তা ট্রান্সফার করতেন চন্দন। কার থেকে কত টাকা নিয়েছেন ও কাকে দিয়েছেন সেগুলো জানা দরকার। এদিকে চন্দনের আইনজীবী বলেন, উপেন বিশ্বাসের কথামতো তাঁকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।
আরও পড়ুন:Recruitment Scam: চন্দনকে টানা জেরা, মিলল ১০ কোটির খোঁজ