কলকাতা: যাদবপুরের পর এবার আর জি কর হাসপাতালের (R G Kar Hospital) এক চিকিৎসক পড়ুয়ার (Medical Student) অস্বাভাবিক মৃত্যু (Unnatural Death)। মৃত ছাত্রের নাম শুভ্রজ্যোতি দাস। শুভ্রজ্যোতি ইন্টার্নশিপ করছিল আর জি কর থেকে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ওই ডাক্তারি পড়ুয়া নার্ভের ওষুধ খেতেন । অতিরিক্ত ওষুধ খাওয়ার ফলে মৃত্যু হয়েছে তাঁর বলে প্রাথমিক অনুমান। শুভ্রজ্যোতির মৃত্যু ঘিরে উঠে আসছে মানসিক অবসাদের তত্ত্ব। ডাক্তারি পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে ক্রমেই বাড়ছে রহস্য়।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, পড়াশোনায় ভালই ছিলেন শুভজ্যোতি। তা সত্ত্বেও এমবিবিএস পরীক্ষার একাধিক বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে পারেননি তিনি। পর৫ভায় অকৃতকার্য হওয়ার জন্য অবসাদে ভুগতে শুরু করেন। যার জন্য ওষুধও খেতেন। নিমতায় কাকার বাড়িতেই থাকতেন। মা-বাবার বিচ্ছেদ মেনে নিতে পারেনি। তার জেরে অবসাদও গ্রাস করছিল তাঁকে। গত বুধ এবং বৃহস্পতিবার কাকার বাড়িতে নিজের ঘরের ভিতরে ছিলেন। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ দরজা ধাক্কানোর পরও দরজা না খোলায় তা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন পরিবারের সদস্যরা। তখনই দেখেন লুটিয়ে পড়ে তাঁর দেহ।
আরও পড়ুন: বিজেপির পূর্বাঞ্চলীয় পঞ্চায়েতিরাজের সম্মেলন উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী
শুভজ্যোতি ২দিন কলেজে আসেনি। বৃহস্পতিবার আত্মীয়র বাড়ি গিয়ে অসুস্থ হয়ে পরে সে। অচৈতন্য অবস্থায় তাকে আর জি কর হাসপাতালে আনলে তাঁকে ডাক্তাররা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। বিষক্রিয়া বা সে যে ওষুধ নিত সেই ওষুধের ওভার ডজের ফলে এই ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, মৃত ছাত্রের পেটে এসিটালোপরাম ওষুধ পাওয়া গিয়েছে। ডেথ সার্টিফিকেটেও উল্লেখ রয়েছে, মাত্রাতিরিক্ত ওষুধের কারণেই মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ তার বাড়ির লোককে ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করছে । এই মৃত্যুর পেছনে অন্য কোনও কারণ আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখছে টালা থানার পুলিশ।
প্রসঙ্গত, শহরে একের পর এক ছাত্রের মৃত্যু কাটগড়ায় তুলেছে শিক্ষানীতিকেই। শিক্ষক-শিক্ষিকারা হয়ত পড়ুয়াদের মন বুঝে উঠতে পারছেন না। পারিপার্শ্বক অবস্থার সঙ্গে মানিয়ে চলতে সমস্যা তার উপর পড়াশোনার চাপ। দুই মিলিয়ে পড়ুয়াদের মনে চাপ ফেলছে। পড়ুয়াদের মনের মধ্যে কী চলছে, তা বোঝার জন্য শিক্ষকদের আরও উদ্যোগী হওয়া উচিত। গতকালই শুক্রবার যাদবপুরের ঘটনা প্রসঙ্গে মন্তব্য করার সময় এই কথা বলেছিলেন তিনি। পড়ুয়াদের মন বুঝতে প্রয়োজনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ডিনদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া দরকার।