ওয়েবডেস্ক- চলতি বছরেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন (Bihar Assemble Election)। আর সামনের বছর বাংলায় নির্বাচন (2026 West Bengal Election)। তার আগেই বাঙালির অস্মিতা রক্ষার লড়াইয়ে আজ পথে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Cm Mamata Banerjee)। পাশে ছিলেন অভিষেক।
বৃষ্টি মুখর কলকাতার রাজপথে আজ ফের ঝড় তুললেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০২৬-এর বাংলায় নির্বাচনের আগে কেন্দ্রকে নিশানা করে ডোরিনা ক্রসিং (Dorina Crossing) থেকে ম্যারাথন আক্রমণ শানালেন তিনি। ২৬-এর নির্বাচনের আগেই বাংলাদেশি তকমা দিয়ে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দিতে চাইছে বিজেপি। ঠিক একই পরিকল্পনা বিহারের ক্ষেত্রেও করা হয়েছে বলে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর। এই ঘটনার পিছনে বিজেপির রাজনৈতিক অভিসন্ধী বলেই কেন্দ্রকে জোরালো আক্রমণ তাঁর।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি বিহারের কথা শুনেছি, প্রায় ৩৫ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। মহারাষ্ট্রতেও বিজেপি জিতেছিল, দিল্লিতেই তাই। না হলে জিততে পারত না। বিহারের সেই পরিকল্পনাই চলছে। ২০২৬-এ বাংলায় নির্বাচন। ভোটকে সামনে রেখে মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়ব না’।
আরও পড়ুন- ভিনরাজ্যে বাঙালি হেনস্থার প্রতিবাদে রাজপথে মমতা-অভিষেক, কোন রুটে মিছিল?
বাংলা ভাষায় কথা বলা পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্থার ঘটনাকে সামনে কেন্দ্র সরকার নিশানা করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ, ভারত সরকার একটা লুকিয়ে নোটিফিকেশন করেছে। সেখানে বলা হচ্ছে, যাকে সন্দেহ হবে, বাংলা ভাষায় কথা বলে, গ্রেফতার করবে, ডিটেনশন ক্যাম্পে রেখে দেবে। বাংলার ২২ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিককে একইভাবে টার্গেট করা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ, বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য বাংলাদেশি রোহিঙ্গা বলে দিচ্ছেন? বাংলাদেশ তো আলাদা রাষ্ট্র, রোহিঙ্গা তো মায়ানমারে থাকে। যারা বাংলার বাসিন্দা, তাঁদের কাছে নথি রয়েছে, আধার কার্ড-প্যান কার্ড সব রয়েছে, তাদেরকে রোহিঙ্গা বলছেন? গরীব, মজুদুর শ্রমিক যারা বাংলার বাইরে কাজ করতে যায়। বাংলায় কাজ করলে তারা অনেক ভালো থাকতেন। আপনারা বাংলার শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করাবেন, আর বাংলায় কথা বললেই তাদের ডিটেনশন ক্যাম্পে নিয়ে পাঠিয়ে দেবেন? কেন বাংলা ভারতের নয়?”
দেখুন ভিডিও-