রাজ্য থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব শিল্প সংস্থার দফতর সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের। স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেডের কাঁচামাল বিভাগ সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিলেন রাজ্যর অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। দফতর সরিয়ে নিলে কর্মহীন হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বহু কর্মীর। অতিমারি পরিস্থিতিতে রাতারাতি স্থায়ী কর্মীদের অন্যত্র বদলি করা হলে সমস্যার সৃষ্টি হবে। কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে চিঠি দিয়ে অর্থমন্ত্রী সেই আশঙ্কার কথাই প্রকাশ করেছেন। তার বক্তব্য, স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার কাঁচামাল বিভাগ স্থায়ী কর্মীর সংখ্যা প্রায় 150 জন।অস্থায়ী কর্মীর সংখ্যাও কিছু কম নয়। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের জেরে প্রবল সমস্যায় পড়তে পারে শ্রমিক পরিবারগুলি।
আরও পড়ুন মোদী- মমতা দ্বৈরথে দ্বিধা বিভক্ত গেরুয়া শিবির
করোনা বিধি নিষেধের জের এমনিতেই চাকরি হারিয়েছে বহু মানুষ। স্থায়ী অস্থায়ী ক্ষেত্র মিলিয়ে কোটি কোটি মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন অমিত মিত্র। চিঠিতে রাজ্যের অর্থমন্ত্রীর আবেদন, ‘সেইল যেন নিজের দফতর কলকাতা থেকে না সরিয়ে নেয়। কারণ এই পরিস্থিতি হলে প্রত্যক্ষভাবে বহু কর্মী কাজ হারাবেন। দফতর বন্ধ হলে বিপর্যস্ত হবেন কর্মীরা।’
আরও পড়ুন যশ, রাজ্যের রিপোর্টে সহমত কেন্দ্রীয় দলের
এমনকি চিঠিতে তিনি অভিযোগ করেছেন, উচ্চপদস্থ আধিকারীকদের সঙ্গে কথা না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। উল্লখ্য, দুর্গাপুর ও বার্নপুরকে খনিজ না দেওয়ার মতো দুর্ভাগ্যজনক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মাননীয় মন্ত্রী নিজেই। ঘটনাচক্রে বিজেপির নির্বাচনী হারের পর কাঁচামালের সদর দফতর সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। এর জেরে রাজ্যে দুটি লাভজনক সংস্থা বার্ণপুর ও দুর্গাপুর ইস্পাত কেন্দ্র চরম সঙ্কটের মুখে পড়তে পারে বলে আশ সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয় হয়েছে রাজ্য বিজেপির। ফলাফলের পর্যালোচনায় হতাশার চিহ্ন গেরুয়া শিবিরে। এর জেরে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক আচরণ করছে কেন্দ্র এমনটাই অভিযোগ তৃণমূলের। তবে এই চিঠির এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের তরফে। সিদ্ধান্তের পরিবর্তন না হলে আগামীদিনে বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার কর্মীরা। চিঠির প্রতিক্রিয়া মেলে কিনা সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজ্য।