কলকাতা: মাটিয়া, বাঁশদ্রোনি, ইংরেজবাজার ও দেগঙ্গা ধর্ষণ মামলায় তদন্তের গতিপ্রকৃতি সংক্রান্ত রিপোর্ট বুধবার আদালতে পেশ করল রাজ্য। এদিন আদালত নির্দেশ দেয়, রিপোর্টে কিছু অসঙ্গতি থাকলে আবেদনকারীদের তা হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে। তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে রাজ্য সরকারে ফের রিপোর্ট পেশ করতে হবে। মামলার পরবর্তী শুনানি ২২ মে।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আইপিএস অফিসার দময়ন্তী সেন রাজ্যের ওই চারটি ধর্ষণ মামলার তদন্ত করছেন। এদিন রিপোর্ট পেশ করে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, দময়ন্তী সেন তদন্তের ব্যপারে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছেন। সাক্ষীদের নাম ডিলিক্ট করে আদালতের নির্দেশমতো ওই রিপোর্ট আবেদনকারীদের দেওয়া হবে।
বগটুই-কাণ্ডের পর মাটিয়া, বাঁশদ্রোনি, ইংরেজবাজার ও দেগঙ্গায় ধর্ষণের ঘটনাকে ঘিরে উত্তাল হয় গোটা রাজ্য। চারটি ঘটনাতেই জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। আদালত ওই মামলাগুলির তদন্তভার দময়ন্তী সেনের হাতে তুলে দেওয়ার পরই শুরু হয় তৎপরতা। শনিবার দেগঙ্গা, মালদহের ইংরেজবাজার এবং উত্তর ২৪ পরগনার মাটিয়া ধর্ষণকাণ্ডের তদন্তকারী মোট ছয় অফিসারকে লালবাজারে ডেকে তদন্তপ্রক্রিয়া শুরু করেন আইপিএস অফিসার।
গত ২৮ মার্চ উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় পটলের খেত থেকে এক মহিলার অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয়দের দাবি ছিল, মদ খাইয়ে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ওই মহিলাকে। ঘটনাস্থল থেকে মদের বোতলও উদ্ধার করে পুলিস।
গত ২৭ মার্চ ইংরেজবাজারে বাড়িতে একা থাকার সুযোগ নিয়ে প্রতিবেশী যুবক এক নাবালিকার মুখ-হাত বেঁধে, আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ট্রেনে চেপে ভিনরাজ্যে পালানোর ছক কষে অভিযুক্ত। তবে ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ।