কলকাতা: পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন সংক্রান্ত আলোচনায় মুখ্যসচিবকে না রাখার আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের বক্তব্য এ ব্যাপারে মুখ্যসচিবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে রাজ্য নির্বাচনকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে। কাজেই আলোচনায় মুখ্যসচিবের থাকা বা না থাকা গুরুত্ত্বপূর্ণ বিষয় নয়।
চার পুরনিগমের ভোটে কেন্দ্রীয়বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে হাইকোর্টে মামলা হয়। রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানায়, রাজ্য পুলিসের উপরই তাদের আস্থা রয়েছে। বিধাননগরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে কি না, সেই বিষয়টি আদালত কমিশনের উপরই ছেড়ে দেয়। বলা হয়, মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, বিধাননগরের পুলিস কমিশনার প্রমুখের সঙ্গে আলোচনা করে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।
আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় ওই আলোচনায় মুখ্যসচিবকে না রাখার আবেদন জানান আদালতে। তাঁর অভিযোগ, ভবানীপুর বিধানসভা উপনির্বাচনের সময় মুখ্যসচিব নির্বাচন কমিশনকে যে ভাষায় চিঠি লিখেছিলেন, তা একজন আইএএস অফিসারের পক্ষে শোভন নয়। তিনি রাজনৈতিক কর্মীর মতো চিঠি লেখেন। ওই সময় আদালতও মুখ্যসচিবের ভূমিকার সমালোচনা করেছিল। মুখ্যসচিব চিঠিতে লিখেছিলেন, অবিলম্বে ভবানিপুরের উপনির্বাচন না করা হলে সাংবিধানিক সংকটের সৃষ্টি হবে। উপনির্বাচন না হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন না।
আরও পড়ুন – WB Civic Polls: বিধাননগরে সিপিএম নেতার বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল
আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়ের যুক্তি, একজন আইএএস অফিসার হয়ে মুখ্যসচিব এই ধরনের চিঠি লিখতে পারেন না। আদালত সঙ্গত কারণেই মুখ্যসচিবের সমালোচনা করেছে। এহেন মুখ্যসচিবকে আলোচনায় না রাখার দাবিতেই সব্যসাচী আদালতে আবেদন করেন। হাইকোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে জানাল, এই আবেদনের কোনও যুক্তিগ্রাহ্য কারণ নেই।