কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (Recruitment Scam) সোম এবং মঙ্গলবারেরর পর বুধবারও সিবিআই (CBI) তদন্তরে গতি প্রকৃতি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। তাঁর অভিযোগ, এক বছর কেটে গেলেও সিবিআই কার্যত কিছুই করেনি। তারা ছেলেখেলা করেছে। সিবিআই মানুষকে বোকা বানাচ্ছে। তাদের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতির প্রশ্ন, মানুষকে বোকা বানানোই কি আপনাদের কাজ?
বিচারপতির নির্দেশ, আগামী ৪ অক্টোবর সিবিআই অধিকর্তা প্রবীণ সুদকে ভার্চুয়ালি হাজির হতে হবে। নিয়োগ দুর্নীতির ওএমআর শিট সংক্রান্ত মামলায় তাঁকে ওইদিন রিপোর্ট পেশ করতে হবে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় মঙ্গলবারও সিবিআই তদন্তের হাল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাকে এবার প্রধানমন্ত্রীর দফতরের সঙ্গে কথা বলতে হবে। কারণ সিবিআই তাঁর অধীনে। তাঁরও জানা উচিত, সিবিআই কী করছে। মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে জড়ালে এই মামলায় রাজনীতির রং লাগবে। আমলাতন্ত্র ঢুকে পড়বে। মামলার তদন্ত ব্যাহত হবে। আইনজীবীর বক্তব্য শুনে বিচারপতি বলেন, ঠিক আছে। তবে আমি সিবিআই অধিকর্তাকেই জানাব। বুধবার বিচারপতি ওই অধিকর্তাকে ৪ অক্টোবর বেলা দুটোর মধ্যে ভার্চুয়ালি হাজির থাকার নির্দেশ দেন। সিবিআই আগেই ওএমআর শিট মামলায় কেস ডায়েরি পেশ করে আদালতের নির্দেশে।
আরও পড়ুন: ডাবল ইঞ্জিনের থেকে অনেক ক্ষেত্রেই বাংলা অনেক এগিয়ে, মন্তব্য শশী পাঁজার
বিচারপতি এদিন বলেন, কেস ডায়েরি দেখে আমি ভয়ঙ্কর কিছু তথ্য পাচ্ছি। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে গঠিত সিটের সদস্য নন, এমন ব্যক্তিও ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। এটা কী করে সম্ভব। তিনি জানান, কাকে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, এই প্রশ্নের জবাব অন্তত তিনজন এই ধরনের শিক্ষক এড়িয়ে গিয়েছেন।
বিচারপতির অভিযোগ, টাকার লেনদেন সংক্রান্ত অর্থবহ কোনও প্রশ্নই করা হয়নি। সিবিআইয়ের আচরণ খুবই ঢিলেঢালা। তাঁর দাবি, টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়া চার শিক্ষককে সিবিআই গ্রেফতার করেছে আদালতের নির্দেশে। তারা নিজে থেকে গ্রেফতার করেনি। তিনি বলেন, সিবিআই আদালতের সঙ্গে খেলা করছে। তারা দুর্নীতির পর্দাফাঁস করার লক্ষ্যে তদন্ত করছে না।