কলকাতা: কয়লাকাণ্ডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ সুমিত রায়ের রক্ষাকবচের মেয়াদ আরও একদফায় বাড়াল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি রবিকৃষ্ণ কাপুরের নির্দেশ, সুমিত রায়কে গ্রেফতার করতে পারবে না সিবিআই। তবে, সিবিআইয়ের তদন্তে তাঁকে সহযোগিতা করতে হবে। সিবিআই ডাকলে, সুমিত রায়কে হাজিরা দিতে হবে। নিজাম প্যালেসে মঙ্গলবার তাঁকে টানা ৮ ঘন্টা জেরা করা হয়।
এর আগে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছিল। কিন্তু আগের দিন শুনানির শুরুতে তিনি এই মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। নিয়ম অনুযায়ী, এর পর মামলাটি প্রধান বিচারপতির কাছে গেলে, তিনি বিচারপতি রবিকৃষ্ণ কাপুরের বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। মঙ্গলবার কাপুরের বেঞ্চেই শুনানি ছিল।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপ্ত-সহায়ক সুমিত রায় কয়লাকাণ্ডে অন্যতম সাক্ষী। কয়লাকাণ্ডে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট দিল্লিতে তলব করলে, সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেকের আপ্ত-সহায়ক।
আরও পড়ুন: WB Corona Updates: রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের কম, উদ্বেগ কমছে না দৈনিক মৃত্যু সংখ্যায়
এর আগে অভিষেকের আপ্ত-সহায়ককে দুই মাসের জন্য অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ দিয়েছিল উচ্চ আদালত। সেই মেয়াদ ফুরনোয় রক্ষাকবচের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক ঘনিষ্ঠ সুমিত।
এই কয়লাকাণ্ডের মামলাতেই কয়েক দিন আগেই ইডিকে ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। ‘ইডি-র আধিকারিকরা কি এতই অযোগ্য যে একজন সাক্ষীকে কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারছেন না? আদালত তো তদন্ত করতে বারণ করেনি। তার পরেও মাত্র দু’বার সমন পাঠিয়ে ইডি চুপ কেন?’ নিজাম প্যালেস বা অন্যত্র ডেকে কেন ইডি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে না, সে প্রশ্নও তোলেন ক্ষুব্ধ বিচারপতি। ইডি-র এহেন আচরণ মোটেও গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।