কলকাতা: শীতের কলকাতা। কেনাকাটায় মজেছে বাঙালি। শহরের অন্যতম ব্যস্ত এলাকা ধর্মতলা। রোজ হাজার হাজার লোক ভিড় করেন সেখানে। তবে, তাতে বাদ সেধেছে করোনা। কারণ দেশে আছড়ে পড়েছে তৃতীয় ঢেউ। রোজই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। তবুও কিছু অসচেতন মানুষ মাস্ক ছাড়া দিব্য রাস্তাঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ভিড় করছেন অযথা।
শুক্রবার এই সকল মানুষকেই সচেতন করার উদ্দেশ্যেই রাস্তায় নামলেন ডি সি সেন্ট্রাল রূপেশ কুমার। এদিন ডি সির নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন পুলিসকর্মী মাইকিং করলেন নিউ মার্কেট চত্বর থেকে শুরু করে গ্র্যান্ড হোটেল, লিন্ডসে স্ট্রিট সহ গোটা এলাকায়। হকার থেকে শুরু করে ক্রেতা, সকলের মুখে মাস্ক রয়েছে কি না ঘুরে দেখলেন।

তৃতীয় ঢেউ উঠেছে (3rd Wave in West Bengal) স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিদিনের বুলেটিনে তা স্পষ্ট৷ কনটেনমেন্ট জোন, মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করেও ঠেকানো যাচ্ছে না সংক্রমণ৷ মাস্ক না পরার প্রবণতা মারাত্মক বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা৷ খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) এ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন- Covid Bengal: মাস্ক ছাড়া ডিএম অফিসে এলে পরীক্ষা, পজিটিভ হলে কোভিড হাসপাতালে ঠাঁই
বৃহস্পতিবার নবান্নে রাজ্যবাসীকে সতর্ক করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আগামী ১৫ দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ মানুষকে সচেতন হতে হবে৷’ এছাড়াও তিনি বলেন, ‘লোকে নিয়ম মানছে না৷’ তাই এদিন পুলিসকে তিনি কড়া হতেও নির্দেশ দেন৷ ঠিক তার পরেই শুক্রবার পুলিসকে দেখা গেল ভিন্ন ভূমিকায়।

রাজ্যে উৎসবের মরশুম শেষ হতেই হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। কলকাতা পুলিসেও (Kolkata Police) ক্রমশ বাড়ছে আক্রান্ত। লালবাজারে বহু পদস্থ ও সাধারণ পুলিস কর্মী আক্রান্ত কোভিডে। তার পরেও শুক্রবার পুলিসের তরফ থেকে মানুষকে সচেতন করার পদক্ষেপ নিতে দেখা গেল। মাস্ক ছাড়া কাউকে ঘুরে বেড়াতে দেখলেই সেই ব্যক্তিকে সঙ্গে সঙ্গে মাস্ক পরতে বলা হচ্ছে। একই সঙ্গে করা হচ্ছে মাইকিং। পুলিসের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, কেনা কাটা হয়ে গেলে বাড়ি ফিরে যান। অযথা ভিড় বাড়াবেন না।