কলকাতা: শুক্রবার ভোররাতে ব্রিটেন থেকে কলকাতায় (Kolkata Airport) ফেরা ছাত্রীর শরীরে ওমিক্রন (Omicron) পাওয়া যায়নি। সোমবার তা নিশ্চিত করেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাক্তার অজয় চক্রবর্তী। কল্যাণী থেকে জিনোম সিকোয়েন্সের রিপোর্ট (genome sequencing of covid-19) আসার পর স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানান, আলিপুরের বাসিন্দা ওই ছাত্রী ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। দক্ষিণ কলকতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বিলেত ফেরত ওই ছাত্রী।
শুক্রবার ভোররাতে কাতার এয়ারওয়েজের বিমানে লন্ডন থেকে দোহা হয়ে কলকাতায় ফেরেন ওই ছাত্রী। দমদম বিমানবন্দরে নামার পর কেন্দ্রের গাইডলাইন মেনে তাঁর আরসি-পিসিআর টেস্ট হয়। রিপোর্ট পজিটিভ এলে ওমিক্রন কি না, নিশ্চিত হতে নমুনা পাঠানো হয় কল্যাণীতে। জিনোম সিকোয়েন্সের জন্য। সোমবার সকালে সেই রিপোর্ট হাতে পায় স্বাস্থ্য দফতর। তাতেই ওমিক্রন রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
বাংলাদেশ থেকে বারাসতে ফেরা আরও এক ব্যক্তির নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য কল্যাণীতে গিয়েছে। সেই রিপোর্ট এখনও আসেনি। বারাসতের বছর সত্তরের ওই ব্যক্তিও দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, কোভিড রিপোর্ট আসার পর দু’জনকেই বেলাঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে, পরিবার তাঁদের বেসরকারি হাসপাতালে সরিয়ে নিয়ে যায়। এখন সেখানেই দু’জনের চিকিৎসক চলছে।
আরও পড়ুন: Omicron suspect in Kolkata Airport: ওমিক্রন আতঙ্ক এবার দমদম বিমানবন্দরে, করোনা পজিটিভ মহিলা
ব্রিটেন থেকে শহরে ফেরা আলিপুরের ওই ছাত্রীর সহযাত্রীদেরও কোভিড টেস্ট হয়েছে। আর কারও রিপোর্ট পজিটিভ আসেনি। কোভিড আক্রান্ত ছাত্রীর শরীরে যে ডেল্টা স্ট্রেন মিলেছে, তা নতুন কোনও ভ্যারিয়েন্ট নয়। বিশ্বজুড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসে ডেল্টা ও ডেল্টা প্লাসের বাড়বাড়ন্তেই। তবে, এখন অনেকটাই শক্তি হারিয়েছে ডেল্টা। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, ডেল্টাকে উপেক্ষা করা ঠিক হবে না। আগের মতোই সতর্ক থাকতে হবে।
রবিবার রাত পর্যন্ত গোটা দেশে ওমিক্রন আক্রান্ত বেড়ে হয়েছে ৩৮। এর মধ্যে প্রথম বার ওমিক্রন ধরা পড়েছে কেরালা, চণ্ডীগড় ও অন্ধ্রপ্রদেশে।