Home Scroll ঝলসে গিয়েছে অধিকাংশ লাশ, শনাক্ত করতে দরকার DNA স্যাম্পেল

ঝলসে গিয়েছে অধিকাংশ লাশ, শনাক্ত করতে দরকার DNA স্যাম্পেল

ওয়েব ডেস্ক: বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা বেজে ৩৮ মিনিট, আহমেদাবাদের (Ahmedabad Plane Crash) সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল বিমানবন্দর থেকে টেক অফ করে এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) ড্রিমলাইনার বিমান। কিন্তু কয়েকমিনিটের মধ্যে ভেঙে পড়ে বিমানটি। দুর্ঘটনার মূহুর্তের যেসব ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে বিমান ভেঙে পড়ার পর প্রবল আগুনের শিখা এবং নিকষ কালো ধোঁয়া দেখা যায়। আর সেই আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয়েছে বিমানে থাকা বেশিরভাগ যাত্রী এবং ক্রু সদস্যদের। সূত্রের খবর, অধিকাংশের দেহ এতটাই পুড়ে গিয়েছে যে তাঁদের চেনা যাচ্ছে না।

তাই দ্রুত মৃতদেহ শনাক্ত করার জন্য বিমান যাত্রী এবং ক্রু সদস্যদের আত্মীয়দের কাছ থেকে ডিএনএ নমুনা (DNA Sample) চেয়ে পাঠিয়েছিল গুজরাত প্রশাসন (Gujarat Government)। গুজরাতের স্বাস্থ্য দফতরের সহকারি মুখ্যসচিব ধনঞ্জয় দ্বিবেদীর ঘোষণার পরেই অহমেদাবাদের বিখ্যাত বিজে মেডিক্যাল কলেজে এই ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু হয়। মৃতদের আত্মীয়-পরিজনদের অনুরোধ করা হয়, তাঁরা যেন বিজে মেডিক্যাল কলেজে এসে নিজেদের নমুনা দিয়ে যান।

আরও পড়ুন: তৎপর ভারতীয় সেনা, আহমেদাবাদে কীভাবে চলছে উদ্ধারকাজ?

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৩৮ মিনিট নাগাদ আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের গেটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানটি বিমানবন্দরের নিকটবর্তী মেঘানি নগর এলাকার বিজে মেডিক্যাল কলেজ এবং সিভিল হাসপাতালের হোস্টেল ভবনের উপর ভেঙে পড়ে। ফলে হোস্টেল ভবনেও বহু প্রাণহানি ঘটে।

এয়ার ইন্ডিয়ার বিবৃতি অনুযায়ী, বিমানে থাকা ২৪২ জনের মধ্যে ১৬৯ জন ছিলেন ভারতীয় নাগরিক। এছাড়াও ছিলেন ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ এবং ১ জন কানাডিয়ান। জানা গিয়েছে, ওই বিমানে গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিও ছিলেন। তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে সরকারের তরফে।

দেখুন আরও খবর: