কলকাতা : রাজ্য সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘হুমকি চিঠি’ কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে মূল অভিযুক্ত অরিন্দম সেনকে। ওই একই দিনে শরৎ বোস রোড পোস্ট অফিস থেকে মোট ৭ টি চিঠি পোস্ট করা হয়েছে। এগুলির মধ্যে কলকাতা টিভি ডিজিটালের হাতে এসেছে একটি চিঠি। যেটি পাঠানো হয়েছিল এনআরএস মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালকে।
চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘খুব শীঘ্রই এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে লুঠপাট চালানো হবে। ঘটানো হবে বিস্ফোরণ। এই ঘটনায় দুই জন ইন্টার্নের মৃত্যু হবে।’ এছাড়াও এই চিঠিতে লেখে হয়েছিল, এই ঘটনায় যুক্ত কয়েক জন ইন্টার্ন, পিজিডি এবং প্রফেসর অলক কুমার। এই চিঠিতে প্রফেসরের ঠিকানাও উল্লেখ করা হয়েছে। চিঠির শেষে লেখা হয়েছে, এটি একটি সতর্কবার্তা। এর ফল ভুগতেই হবে।
এই চিঠি লেখা হয়েছিল পার্থসারথি মুখোপাধ্যায়ের নামে। ঠিকানা দেওয়া হয়েছিল অবিনাশচন্দ্র ব্যানার্জি লেন, কলকাতা – ৭০০০১০। এই চিঠি পেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করে এনআরএস কলেজ কর্তৃপক্ষ ।
আরও পড়ুন – আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘হুমকি চিঠি’ কাণ্ডে গ্রেফতার ৩
অরিন্দম সেনকে গ্রেফতারের পর জেরায় উঠে এসেছে এমনই নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। ফাঁস হয়েছে এই এনআরএসে পাঠানো একটি চিঠি। জানা গিয়েছে, শুধু আলাপনবাবুর স্ত্রী তথা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে নয়, এই দিন চিঠি পাঠানো হয়েছিল ডিরেক্টর মেডিক্যাল এডুকেশন, এনআরএসের প্রিন্সিপাল, মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল, সায়েন্স সেক্রেটারি, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি এবং জুলি ভট্টাচার্য নামের এক জনৈক মহিলাকে। যদিও সেই সব চিঠির বিষয়ে বিস্তারিত কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে, গত দু’ই বছরে তিনি প্তায় ৩৬ টি চিঠি পাঠিয়েছেন। বাকি চিঠির বিষয়ে তদন্ত শুরু করছে পুলিশ।