কলকাতা: সাংগঠনিক দুর্বলতা চিহ্নিত করতে পেশাদার সংস্থার তৈরি করা পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন সিপিএমের রাজ্য সম্মেলনে (state conference of CPM) । ঘুরে দাঁড়াতে এবার তৃণমূল (Tmc) ও বিজেপির (Bjp) পেশাদারি সংস্থার আদলে রিপোর্ট পেশ তিন ঘন্টার বিশেষ সেশনে।
ভোটের রাজনীতি থেকে কেন হারিয়ে যাচ্ছে সিপিএম? কোথায় দুর্বলতা? অঞ্চলভিত্তিক ভোটের শতাংশ ধরে বিরোধীদের থেকে কোথায় পিছিয়ে।
আরও পড়ুন: ‘ওয়েনাড়ের ভূমিধসে স্বজনহারানো মানুষের জন্য ত্রাণের আবেদন, মোদিকে চিঠি প্রিয়াঙ্কার
অন্যদিকে অঞ্চল ভিত্তিক মূল সমস্যা কি?
সরকারি তা সমাধান করতে কতটা সফল বা ব্যর্থ হয়েছে তার পর্যালোচনা। সেই অনুসারে নির্দিষ্ট অঞ্চল ভিত্তিক লক্ষ্য স্থির করে আন্দোলনমুখী কর্মসূচি।
রাজ্যজুড়ে ভোট প্রচারের প্রবণতা পরিবর্তন করে অঞ্চল ভিত্তিক কৌশল চূড়ান্ত করে প্রচার করতে হবে। শুধু সাংগঠনিক পর্যালোচনা নয়, নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই থেকে শুরু করে কি কি করতে হবে তারও পথ ঠিক করে দিচ্ছে পেশাদার সংস্থা। সিপিএম প্রথম থেকে এই ধরনের সংস্থার বিরোধিতা করে এলেও এবার সেই পথেই হাঁটতে চলেছে।
এবারের রাজ্য কমিটিতে বড় ধরনের রদবদলের সম্ভাবনা কম। রাজ্য সম্পাদক থাকছেন মহ: সেলিমই। বয়স জনিত কারণে অশোক ভট্টাচার্য, জীবেশ সরকার সহ বেশ কয়েকজন বাদ যেতে চলেছে। ছাত্র, যুব এবং মহিলা সংগঠনের থেকে বেশ কয়েকজনকে এবার নেওয়া হবে রাজ্য কমিটিতে। তবে শেষ পর্যন্ত সুশান্ত ঘোষকে রাজ্য কমিটিতে রাখা হবে কিনা তা নিয়ে দলের অভ্যন্তরে চূড়ান্ত বিতর্ক। বিতর্ক আছে মৃণাল চক্রবর্তী, রাহুল ঘোষদের নিয়েও। তবে সম্মেলনের আলোচনা, নেতৃত্বের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট বিধানসভা নির্বাচনের আগে খুব বেশি বিতর্কে যেতে চাইছে না সিপিএম।
দেখুন অন্য খবর: