বারুইপুর: বারুইপুরে (Baruipur) চার বন্দির পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের দায়িত্ব অবিলম্বে সিআইডিকে (CID) হস্তান্তর করার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। আদালতের নির্দেশ রাজ্য পুলিশের ডিজিকে খুব দ্রুত এই হস্তান্তর কার্যকর করতে হবে। পাশাপাশি এ ব্যাপারে পুলিশ কী পদক্ষেপ করল এবং সিজেএম কী রিপোর্ট দিয়েছেন তাও পেশ করতে বলা হয়েছে। আগামী ১৯ জুন ওইসব রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে বলে জানিয়েছে প্রধান বিচারপতি টি এস শিভগননমের ডিভিশন বেঞ্চ।
আবেদনকারীর অভিযোগ, গত বছর অগাস্ট মাসে চারজনকে ডাকাতির অভিযোগে গ্রেফতার করে বারুইপুর থানা। হেফাজতে থাকাকালীনই মৃত্যু হয় তাদের। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে একজনের দেহে ২৬টি আর এক জনের দেহে ২৪টি আঘাতের চিহ্নর কথা উল্লেখ করা হয়। আবেদনকারীর আরও অভিযোগ, পরে রাজ্য সরকার মুখ বন্ধ করতে চারজনের পরিবারকে ৩ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিয়ে দায় সারে। রাজ্যে সরকারের বক্তব্য ছিল, এরা সকলেই মাদকাসক্ত ছিল। নিজেদের মধ্যে মারামারি করে মারা গিয়েছে। গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতি বা এপিডিয়ার এই চার মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ আপাতত তদন্তভার সিআইডির হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে। পাশাপাশি আদালতের নির্দেশমতো ডিজি কী পদক্ষেপ করেছেন এই হেফাজতে মৃত্যুর ব্যাপারে ১৯ জুনের মধ্যে তাও জানাতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন:HC | Moyna | ময়নায় বিজেপি বুথ সভাপতি খুনের ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের পরিবারের
প্রসঙ্গত, এটাই প্রথম নয়। কয়েকবছর আগেও বারুইপুর সংশোধনাগারে এক বন্দির অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায়। মৃতের নাম কাজল দে। সংশোধনাগারেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে ৩১ বছর বয়সী কাজলকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান জেল কর্তৃপক্ষ। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কী কারণে কাজল দে-র মৃত্যু হয়েছিল সে বিষয়টি স্পষ্ট ছিল না চিকিৎসকদের কাছে।