কলকাতা: তাঁর শরীরে কোনও চোট আঘাত নেই। নেই স্পষ্ট গলায় ফাঁস দেওয়ার দাগও। সূত্রের খবর, ময়নাতদন্তের আগে মৃত অর্জুনের দেহের তদারকি করে এমন তথ্যই সামনে এনেছেন চিকিৎসকরা। শনিবার আলিপুর কমান্ড হাসপাতালের লাশ কাটা ঘরে বিজেপি কর্মী অর্জুন চৌরাসিয়ার ময়নাতদন্তের আগে আরজি করের চিকিৎসকেরা এমন রিপোর্টই দিয়েছেন। পুলিসি পরিভাষায় যা ইনকোইয়েস্ট রিপোর্ট।
ময়নাতদন্তের আগে ইনকোইয়েস্ট রিপোর্টে বলা হয়েছে, অর্জুনের দেহে কোনও চোট আঘাত নেই। অর্থাৎ মৃত্যুর আগে মধ্য কুড়ির অর্জুনকে মারধর করা হয়েছে এমন কোনও প্রমাণ নেই। ওই রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, অর্জুনের গলার দড়ির ফাঁস স্পষ্ট নয়। যা দেখে চিকিৎসকদের অনুমান, ফাঁস লাগানোর সময়েই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিলেন অর্জুন। আরও স্পষ্ট করে বললে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে থাকেন তিনি। চিকিৎসকেরা বোঝাতে চেয়েছেন, গলায় ফাঁস লাগানোর সঙ্গে সঙ্গেই নিজের শরীরের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন অর্জুন। যে কারণে গলায় দড়ির পর্যাপ্ত দাগ পড়তে পারেনি।
অর্জুনের মৃত্যুর পর থেকেই ক্রমশই দানা বাঁধছে রহস্য। বিজেপির প্রথম থেকেই দাবি ছিল খুন করা হয়েছে অর্জুনকে। তবে, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টও বলছে, আত্মহত্যাই করেছেন অর্জুন চৌরাসিয়া। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অন্তত সেই দিকেই ইঙ্গিত করেছে। শনিবার কম্যান্ড হাসপাতাল সূত্রে অর্জুনের ময়নাতদন্তের যে প্রাথমিক রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে তাতে এই বিজেপি কর্মী আত্মহত্যা করেছিলেন বলেই খবর।
আরও পড়ুন- BJP Workers Death: মৃত্যুর আগের রাতে কার গাড়ি এসেছিল অর্জুনের বাড়ির সামনে? বাড়ছে রহস্য