কলকাতা: ইস্তাহারেই স্পষ্ট করা হয়েছিল৷ বাড়ির তৈরির অনুমতিতে দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ যে উঠছে তা কানে এসেছে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর৷ পুরভোটের প্রচারে এ বিষয়ে স্বচ্ছতার আশ্বাসও দিয়েছিলেন তিনি৷ মেয়র হিসাবে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করার সময় এ বিষয়েই পদক্ষেপ করার কথা জানালেন ফিরহাদ৷ বললেন, অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে গোটা বিষয়টা করা হবে৷
ফিরহাদ হাকিমের কথায়, ‘‘আবেদনের ১০-১৫ দিনের মধ্যেই গোটা বিষয়টা শেষ করে ফেলা হবে৷ যাতে কোনও রকম সমস্যা না হয় নাগরিকদের, সে জন্য দ্রুত অ্যাপ পরিষেবা শেষ করা হবে৷’’ পুরসভা সূত্রে খবর অ্যাপ চালু হলে সেখানে বাড়ি-জমি, নকসার সম্পূর্ণ তথ্য আপলোড করা যাবে৷ করা যাবে আবেদন৷ তার তা খতিয়ে দেখবেন সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকরা৷
নতুন বাড়ির আবেদনের পাশাপাশি বিপজ্জনক বাড়ি ভেঙে ফেলার বিষয়টি নিয়েও প্রথম দিনেই মুখ খুললেন ফিরহাদ৷ মূলত উত্তর কলকাতার একাধিক বিপজ্জনক বাড়ি বা ভঙ্গুর বাড়ির ছবি গত কয়েক বছর ধরে পুরসভার হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে চলেছে৷ একাধিকবার চেষ্টা করার পরও ভাড়াটিয়া-বাসিন্দাদের তোলা সম্ভব হয়নি৷ যার চরম পরিণতি দেখা গেছে বাড়ি ভেঙে মৃত্যুর ঘটনায়৷ এবার ক্ষমতায় এসেছে প্রয়োজনীয় আইন সংস্কার করে শংসাপত্র দিয়ে বিপজ্জনক বাড়ির ভাড়াটিয়াদের বাস্থানের কথা জানিয়েছেন মেয়র৷ একই সঙ্গে ফিরহাদের আশ্বাস, পুরনো বাড়ি ভেঙে প্রোমাটারেরা নতুন বাড়ি তৈরির পর সংশ্লিষ্ট বাড়ির ভাড়াটিয়ারা কোনও রকম ঝক্কি ছাড়াই মাথা গোজার ঠাঁই পান৷