কলকাতা: দলের হুশিয়ারি, একাধিক শীর্ষ নেতার চেষ্টা সত্ত্বেও মনোনয়ন প্রত্যাহার (KMC Election 2021) করলেন না তৃণমূলের দুই বিক্ষুব্ধ তনিমা চট্টোপাধ্যায় এবং সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে ৬৮ এবং ৭২ নম্বর ওয়ার্ড নির্দল কাঁটা নিয়ে অস্বস্তি বাড়ল তৃণমূলের। শনিবার কলকাতা পুরভোটের (KMC Election 2021) মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দুই নির্দলের কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। তাঁদের দাবি, তৃণমূলের বিরুদ্ধে নয়, লড়াই প্রার্থীদের বিরুদ্ধে।
তবে আরেক বিক্ষুব্ধ রতন মালাকার শুক্রবারই মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। মনোনয়ন প্রত্যাহার করে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি। দলের সৈনিক ছিলাম। আছি, থাকব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই আজ আমি এই জায়গায়। সুব্রত বক্সি, মদন মিত্ররা আমায় বুঝিয়েছেন। আমার ভুল বুঝতে পেরেছি। দল যে দায়িত্ব দেবে তা পালন করব।’ দীর্ঘ ২০ বছর কাউন্সিলর থাকার পরও এই বছর আচমকা বাদ পড়েছিলেন রতন৷
৭২ নম্বর ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির ভাই ওই ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর সন্দীপরঞ্জন বক্সির বিরুদ্ধে লড়ছেন তিনি। ২০১০ থেকে ২০১৫ অবধি সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়কেই চেয়ারম্যান করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। জোড়া পাতা চিহ্নে লড়া সচ্চিদানন্দ জানান, মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর তৃণমূলের অনেকেই ফোন করেছিলেন। মনোনয়ন প্রত্যাহার করলে মানুষের সঙ্গে বেইমানি করা হবে।
আরও পড়ুন- নির্দল রতনের বোধোদয়, মনোনয়ন প্রত্যাহার করে বললেন, ‘আমি তৃণমূলের সৈনিক’
সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোন তনিমা চট্টোপাধ্যায় জোড়া পাতা চিহ্নে লড়ছেন ৬৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। ২৬ তারিখ দলের ঘোষিত প্রার্থী তনিমা চট্টোপাধ্যায়কে বদল করে বিদায়ী কাউন্সিলর সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়কেই টিকিট দেয় তৃণমূল কংগ্রেস। তবে তাতে দমে যাননি তনিমা চট্টোপাধ্যায়। দাদার ছবি হাতে নিয়ে ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দেন তনিমা। সুব্রত আবেগ নিয়েই চিন্তা জোড়াফুল শিবিরের অন্দরে।
দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের এক বিজয়া সম্মিলনীতে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি হুশিয়ারি দিয়েছিলেন, টিকিট না পেয়ে বিরোধিতা করলে রাজনীতিগতভাবে একঘরে হতে হবে। দুই নির্দল প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে শাস্তির মুখে পড়তে পারেন বলে শোনা গিয়েছিল। এখন দেখার এই দুই বিক্ষুব্ধ প্রার্থীর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয় তৃণমূল।