কলকাতা: দিলীপ কুমার থেকে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, শঙ্খ ঘোষ থেকে বুদ্ধদেব গুহ হয়ে বিরজু মহারাজ! অতিমারির বিশ্বে মৃত্যুমিছিল চলছে। বিগত দেড় বছরে বিভিন্ন ক্ষেত্রের অন্তত ১৬ জন গুণী ব্যক্তিত্বকে হারিয়েছে ভারত। এই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর। এঁদের নিয়েই এ বার আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় (Kolkata Book Fair) থাকবে বিশেষ প্যাভেলিয়ন। রবিবার বইমেলার মাঠ পরিদর্শন করে এ কথা জানালেন গিল্ড-এর সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়।
৪৫তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা শুরু হচ্ছে ২৮ ফেব্রুয়ারি। তার আগে প্রস্তুতির খুঁটিনাটি দেখতে রবিবার, ছুটির দিনে বিধাননগর সেন্ট্রাল পার্কের মেলার মাঠ পরিদর্শন করেন গিল্ড কর্তারা। ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও ছিলেন গিল্ড সভাপতি সুধাংশু শেখর দে-সহ তরুণ সদস্যরা। এ বারের থিম কান্ট্রি বাংলাদেশ। বইমেলা চলবে ১৩ মার্চ পর্যন্ত।
এ বছর শেখ মুজিবের জন্মশতবর্ষ। সেইসঙ্গে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধেরও সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষ। তা মাথায় রেখেই এ বারের থিম বাংলাদেশ। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বাংলাদেশকে স্বাধীন করার ডাক দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। ঘোষণা করেছিলেন, ‘এ লড়াই স্বাধীনতা সংগ্রামের লড়াই।’ ত্রিদিব জানান, বইমেলা পিছনোয় ৭ মার্চ দিনটি বিশেষ ভাবে উদযাপিত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: Lata Mangeshkar: রবীন্দ্রসদনে লতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের ব্যবস্থা করল রাজ্য
গিল্ড সভাপতি সুধাংশু শেখর দে জানান, বাংলাদেশও কলকাতা বইমেলাকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। অন্যান্য বার বাংলাদেশ থেকে ৪০টি স্টল দেওয়া হয়। এ বার ওপার বাংলা থেকে অন্তত ৫০টি স্টল হবে।
সুধাংশুর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অতিমারির কারণে মালের মাঠে ফাঁকা জায়গা বাড়ানো হচ্ছে। যে কারণে, স্টলগুলির মাপ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। গিল্ড সভাপতির দাবি, এখনও পর্যন্ত মেলার মাঠের ৩০ শতাংশ ফাঁকা রাখা হয়েছে। তবে, আরও কিছু স্টল বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে গিল্ড কর্তৃপক্ষের। অনেকেই স্টল চেয়ে আবেদন করেছেন।
উদ্যোক্তাদের তরফে জানা গিয়েছে, এ বার ৬০০টি স্টল হচ্ছে। এর মধ্যে ৫০টিই বাংলাদেশের। লিটল ম্যাগাজিনের জন্য হবে ২০০ স্টল। কোভিড বিধি মেনে আর কিছু স্টল কী করে বাড়ানো যায়, তা খতিয়ে দেখতেই রবিবার তাঁরা মেলার মাঠ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন।