কলকাতা: পঞ্চমীর দুপুরেই মেট্রো স্টেশনগুলিতে (Metro Station) যে ভিড় দেখা গেল, তাতে সন্ধ্যায় কী হবে কিংবা ষষ্ঠী থেকে নবমী পর্যন্ত কী চেহারা নেবে তা ভেবে উদ্বিগ্ন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। তাই অতিরিক্ত ভিড় সামাল দিতে এবং মেট্রো যাত্রীদের (Passengers) সুরক্ষা দিতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ করল কলকাতা মেট্রো। বৃহস্পতিবার বেলা গড়াতেই সমুদ্রের মতো ভিড় আছড়ে পড়েছে মেট্রোর বিভিন্ন স্টেশনে। আট থেকে আশির ভিড়ে মেট্রো যেন শীতের ময়দান। এক একটি ট্রেন স্টেশনে ঢুকছে আর জনতা হুমড়ি খেয়ে পড়ছে ট্রেনের কামরায়। ভিড়ের চাপে ট্রেনের দরজা পর্যন্ত আটকাচ্ছে না। বারে বারে মাইকে ঘোষণা করা হলেও কে শোনে কার কথা।
এই অবস্থায় ভিড় নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ করেছে মেট্রো। কিন্তু তাতে কতটা কাজ হবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। অপ্রীতিকর যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলায় সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত একাধিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। দক্ষিণেশ্বর, দমদম, বেলগাছিয়া, শ্যামবাজার, শোভাবাজার-সুতানুটি, মহাত্মা গান্ধী রোড, সেন্ট্রাল, যতীন দাস পার্ক, কালীঘাট, রবীন্দ্র সরোবর, কবি নজরুল, কবি সুভাষ, শিয়ালদহ এবং বেঙ্গল কেমিক্যাল— এই স্টেশনগুলিতে ঠাকুর দেখতে আসা মানুষের ভিড় বেশি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই এই সমস্ত স্টেশনে অধিক সংখ্যায় রেল সুরক্ষা কর্মী মোতায়েন করা হচ্ছে। আলাদা নজরদারি থাকছে নোয়াপাড়া, টালিগঞ্জ, কবি সুভাষ এবং সেন্ট্রাল পার্কের মেট্রো কারশেডে।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে দুর্গাপুজো কবে? ছুটিও নষ্ট হবে, দেখুন নির্ঘণ্ট
আপৎকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলায় থাকছে পাঁচ সদস্যের কুইক রেসপন্স টিম এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দল। পাশাপাশি, মহিলা যাত্রী এবং শিশুদের নিরাপত্তায় থাকছে মহিলা আরপিএফ টিম। ভিড়ের কারণে কোনও যাত্রী যাতে প্ল্যাটফর্মের হলুদ রঙের লক্ষ্মণরেখা না পেরোতে পারেন, সে দিকে নজর রাখবে আরপিএফের একটি দল। ভিড়ের সময়ে যাত্রীদের সাবধান করতে আরপিএফ কর্মীদের হাত-মাইক ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। সিসি ক্যামেরায় মেট্রো স্টেশনগুলিতে নজরদারি চালানোর পাশাপাশি সন্দেহজনক বস্তু শনাক্তকরণে কাজে লাগানো হবে পুলিশ কুকুরকেও। এমনকি সিসি ক্যামেরার যাবতীয় ফুটেজ রেকর্ড করে রাখার কথাও জানানো হয়েছে।
দেখুন আরও অন্য খবর: