কলকাতা: বিধানসভার লবিতে বা কোনও কর্মসূচিতে তিনি সহজেই সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ জমিয়ে ফেলতেন। তাঁর রসবোধ সাংবাদিক মহলে বিশেষ জনপ্রিয় ছিল। আগাগোড়া সাংবাদিকদের ধরাছোঁয়ার মধ্যেই বিচরণ করতেন সহজ সরল মানুষটি। কলকাতা প্রেস ক্লাবের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল প্রাক্তন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। তাঁর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করল প্রেস ক্লাব।
শুক্রবার কলকাতা প্রেস ক্লাবের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘বর্ষীয়ান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে প্রেস ক্লাব, কলকাতা তার এক পরম সুহৃদ কে হারালো। প্রেস ক্লাব, তথা সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি সব সময়েই অত্যন্ত নিকট সম্পর্ক রেখে চলতেন। ক্লাবের উন্নয়ন ও সংস্কারে কলকাতার মেয়র হিসেবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন।’
প্রেস ক্লাবের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এসেছেন সুব্রত। ১৯৭২-এর ২৩ মার্চ তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় এসেছিলেন ক্লাবে। সুব্রত মুখোপাধ্যায় তাঁর সঙ্গে ছিলেন। ২০০১-এর ১৫ আগস্ট ক্লাবে এসেছিলেন প্রয়াত তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তপন শিকদার ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরসভায় দীর্ঘকালের সাংবাদিক ললিত ভরকে ওই অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা জানান সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: কেমন ছিলেন ব্যক্তি সুব্রত? স্মৃতিচারণায় শাসক থেকে বিরোধীরা
২০০৩-এর ২২ জুলাই ক্লাব সংস্কারের পর আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসেছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও মালা রায়। সে দিন সুব্রতবাবু পুরস্কার দেন তিন ক্রীড়াবিদকে- চুনী গোস্বামী, সুব্রত ভট্টাচার্য ও পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়। ৯ সেপ্টেম্বর শারদোৎসবে আসেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ক্যারম খেলায় অংশ নেন তাঁরা।

২০০৩-এর ২৬ জুলাই হল ক্লাবের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, তপন শিকদার, কলকাতা পুরসভার মেয়র সুব্রত মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।
২০০৫ সালের ১১ জানুয়ারি ক্লাবের সুবর্ণ জয়ন্তীর সূচনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন মেয়র সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ২০০৫- সালের ১৩ জুনও ক্লাবে আসেন সুব্রত মুখোপাধ্যায় এসেছিলেন। ২০১৬ সালে ৩০ জুন ইফতারে ক্লাবে আসেন সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী।

আরও পড়ুনঃ ‘সুব্রতদার দেহ আমার পক্ষে দেখা সম্ভব নয়’, মন্ত্রীর শেষ যাত্রায় থাকবেন না মমতা
বাংলা সংবাদপত্রের ২০০ বছর উপলক্ষে ২০১৭-র ৩০ জুন প্রেস ক্লাবে রবীন্দ্র সদনে একটি অনুষ্ঠানে আয়োজন করে। ওই দিন একটি বই প্রকাশ করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানে মঞ্চে ছিলেন সুব্রতবাবু। আরও বেশ কয়েকবার তিনি ক্লাবে আসেন। তবে তার সে রকম কোনও প্রামান্য নথি নেই।