কলকাতা: কর্মসূত্রে কলকাতায় এসেছিলেন সুনীল উপাধ্যায়। দায়িত্ব পেয়েছিলেন জাদুঘর সংরক্ষণ আধিকারিকের। কর্মক্ষেত্রে বেশীদিন অবশ্য দায়িত্ব পালন করতে পারেননি তিনি। উত্তরপ্রদেশের বাড়িতে বৃদ্ধ মায়ের কাছে হঠাৎই খবর এসেছিল, সুনীলবাবু নিখোঁজ। তারপর দেখতে দেখতে কেটে গেছে সাতটা বছর। শুকোয়নি মায়ের চোখের জল। জুনপুর জেলার দাড়য়াভগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে ছেলের ছবি বুকে আগলে পুলিশ প্রশাসনের কাছে কাতর আর্তি, ফিরিয়ে দাও ছেলেকে। সুনীল উপাধ্যায়ের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনার দ্রুত তদন্তের আর্জি জানিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মা তারাদেবী ও বড়ভাই অনীল উপাধ্যায়। নিখোঁজ আধিকারিকের পরিবারের অভিযোগ, কর্মস্থলে ব্যাপক দূর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন তিনি। দক্ষিণ কলকাতার চারুমার্কেট এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন সুনীল উপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: লালকেল্লার জাদুঘর থেকে গায়েব নেতাজির টুপি! কী বলল কেন্দ্র
২০১৪ সালের ৩ জুলাই সন্ধের সময় বাড়ি থেকে বেরনোর পর আর ফিরে আসেননি তিনি। চারু মার্কেট থানায় নিখোঁজ হওয়ার ঘটনার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সুনীলবাবুর পূর্ব পরিচিত সরোজ উপাধ্যায়। খবর পেয়ে লালবাজারের মিসিং পার্সন স্কোয়ার্ডে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ জানানো হয় কেন্দ্রীয় তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরেও। কলকাতা পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়ায় খুশি না হয়ে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় নিখোঁজ আধিকারিকের পরিবার। তদন্ত ভার গ্রহণ করে রাজ্যের গোয়েন্দা দফতর। এরপর কেটে গেছে সাতটি বছর, আজও প্রশাসনের কাছে অধরা সুনীল উপাধ্যায়ের নিখোঁজ রহস্য। আদৌ মিলবে কী জাদুঘরের সংরক্ষণ আধিকারিকের খোঁজ? উত্তরের আশায় দিন গুনছে পরিবার।