Thursday, August 28, 2025
HomeScrollরাজ্যের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে নতুন সংগঠন

রাজ্যের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে নতুন সংগঠন

কলকাতা: রাজ্যের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে নয়া সংগঠন। আনুষ্ঠানিক ভাবে নতুন ডাক্তার সংগঠন (New Organisation Doctors) তৈরি হল। এই নয়া সংগঠনের সভাপতি হচ্ছেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা (Shashi Panja)। সংগঠনী বিধায়ক সাংসদরা। আরজি কর কাণ্ডের আবহে রাজ্যে তৈরি হল চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ‌্যকর্মীদের নিয়ে নতুন সংগঠন। সূত্রের খবর, মুখ‌্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) অনুমোদন নিয়ে এই নয়া সংগঠন এবং তার কমিটি চূড়ান্ত করা হয়েছে।

চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের নতুন সংগঠন ‘প্রোগ্রেসিভ হেলথ অ্যাসোসিয়েশনে’। এই সংগঠনের সভাপতি হবেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা চিকিৎসক শশী পাঁজা। সরকারি হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তারা নতুন এসোসিয়েশন গঠন হল। স্বাস্থ্য চিকিৎসা ব্যবস্থায় সমন্বয় ঘটাতে এই নতুন সংগঠন তৈরি করা হল। যাতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ব্যাহত না হয়। হাসপাতালের সম্পত্তি নষ্ট, ভাঙচুর, কিংবা ডাক্তার-স্বাস্থ্য কর্মীদের হেনস্তার ঘটনায় হাসপাতালগুলোতে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তাতে রোগী পরিষেবা ব্যহত হয়। রোগীদের পরিষেবা ও ডাক্তারদের সুরক্ষার স্বার্থে এই সংগঠন। রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতিতে কাজ করবে এই সংগঠন, জানালেন শশী পাঁজা।

আরও পড়ুন: নির্যাতিতা তরুণীর বাবা-মাকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে, বিস্ফোরক পানিহাটির প্রাক্তন কাউন্সিলর

মন্ত্রী শশী পাঁজা সংগঠন নিয়ে বলেন, স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবে এই সংগঠন। খুব শীঘ্রই রাজ্যের মানুষকে এই সংগঠনের ইমেইল সহ যোগাযোগ করার যাবতীয় তথ্য জানানো হবে। যেকোন অভিযোগ এলে এই সংগঠন সরাসরি যোগাযোগ করবে স্বাস্থ্য ভবনের (Sasthyo Bhavan) সঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমস্ত বিষয় জানানো হবে। রাজ্যে আর তৃণমূলের কোনও সংগঠন থাকবে না। তৃণমূলের সব চিকিৎসা সংগঠন যুক্ত হয়ে যাবে এই সংগঠনের সঙ্গে। এটাই হবে মূল সংগঠন। আরজি কর প্রসঙ্গ টেনে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, যখন ওই নারকীয় ঘটনা ঘটেছিল তখন মানুষকে বোঝানোর জন্য কোন সংগঠন ছিল না। এই সংগঠন সব রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে কাজ করবে। তিনি স্পষ্ট জানান, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কোনও রাজনীতি হতে পারে না।

তিনি আরও জানান, গ্রামস্তরের সমস্যা নিয়ে আমরা নজর দেব। আমরা জেলা ভিত্তিক কমিটি তৈরি করে দেব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ বিশ্বাস করেন তারা প্রত্যেকেই এই সংগঠনের তলায় থাকবেন। কেন্দ্রের দেওয়ার উপর মানুষ উপকৃত হচ্ছে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় মানুষ উপকৃত হচ্ছে। কমিটিতে কারও নিজস্ব স্বার্থ থাকবে না। চিকিৎসায় গাফিলতি থাকলে সেখানেও টিম যাবে। সরকারি পরিষেবার বা প্রাইভেটে যদি গাফিলতির অভিযোগ পেলে সেখানেও সংগঠনের প্রতিনিধিরা পৌঁছে যাবেন। রেফারেল ক্ষেত্রে নিদিষ্ট ব্যবস্থা।

দেখুন ভিডিও

Read More

Latest News