কলকাতা: রামপুরহাট ‘হিংসা’র ঘটনায় (Rampurhat political violence) সম্ভবত ব্যক্তিগত ‘আক্রোশ’ আর ‘ক্ষোভের’ আগুনে পুড়ে নিহত হয়েছেন আট জন। রাজ্য পুলিস প্রাথমিক ভাবে যে তথ্য স্থানীয় সূত্র মারফত পেয়েছেন তাতে এ রকমই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। রাজ্য পুলিসের ডিজি মনোজ মালব্য (DG Manoj Malviya) ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির যোগসূত্র (Political Conflict) থাকার সম্ভাবনা এক রকম উড়িয়ে দিয়েছেন। আবার এটাও বলেছেন, সোমবার তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) উপ প্রধান ভাদু শেখ খুন হওয়ার (Rampurhat TMC Murder) এক ঘণ্টার মধ্যেই বগটুই গ্রামের একাধিক বাড়িতে আগুন লাগে।
অর্থাৎ ডিজির বয়ানে স্পষ্ট, তৃণমূল কংগ্রেস নেতা খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করেই পরিস্থিতি সোমবার রাতে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। কিন্তু কীভাবে লাগল আগুন? এর মধ্যে কি কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে? যে বাড়ির ভিতর থেকে একেবারে পুড়ে কাঠ হওয়া সাতটি দেহ উদ্ধার হয়েছে তাঁদের মৃত্যুর পিছনে কি কোনও অন্তর্ঘাত রয়েছে? মৃতদের পরিচয় কী? এ রকম একাধিক প্রশ্নের উত্তর এখনও দেয়নি পুলিস। তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ খুন এবং তার পরবর্তী ‘হিংসা’র ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিস এখনও পর্যন্ত এগারো জনকে গ্রেফতার করেছে বলে ডিজি জানান। ঘটনাস্থলে গিয়েছে সিটের তদন্তকারী দল।
মঙ্গলবার ডিজি সাংবাদিক বৈঠকে জানান, ভাদু শেখ খুন হওয়ার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই সাত-আটটা বাড়িতে আগুন লাগে। এদিন দমকলকর্মীরা একটি বাড়ি থেকে সাত জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। আর হাসপাতালে সোমবার রাতে একজন মারা গিয়েছেন। কেন এই ঘটনা ঘটল, পুলিস তা খতিয়ে দেখছে। আইসি এবং এসডিপিওকে সরানো হয়েছে। তদন্তের জন্য সিট গঠন করা হয়েছে। এখন গ্রামের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। গ্রামে এখন আর কোনও উত্তেজনা নেই। পুলিস পিকেট বসানো হয়েছে।
আরও পড়ুন- Rampurhat Violence: পরিস্থিতি রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকে এগোচ্ছে, রামপুরহাট নিয়ে দাবি সুকান্ত মজুমদারের
ডিজির দাবি, ঘটনার পিছনে কোনও রাজনৈতিক কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ব্যক্তিগত আক্রোশ কিংবা গ্রামের মানুষের ক্ষোভের কারণে এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটল কি না, তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। ডিজি বলেন, এমনও হতে পারে, দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে কোনও গোলমাল ছিল। তারই পরিণতিতে এই ঘটনা। তিনি জানান, অফিসাররা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।