ওয়েব ডেস্ক: রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে (Assembly Election) পাখির চোখ করে ঘুঁটি সাজাচ্ছে পদ্ম শিবির। একের পর এক কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাবাসীর মন জিততে মরিয়া বিজেপি (BJP)। সেই লক্ষ্যে ফের একবার হিন্দু আবেগে শান দেওয়ার ব্যবস্থা করেতে চলেছে রাজ্য বিজেপি। কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত হতে চলেছে এক বৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান— ‘পাঁচ লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ’ (Geeta Path In Brigade Parade Ground)। গীতার শ্লোকে ভরে উঠবে ব্রিগেডের আকাশ, বাতাস।
জানা গিয়েছে, আগামী ৭ ডিসেম্বর এই ঐতিহাসিক পাঠসভা আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়েছে আরএসএস (RSS) এবং তাদের সহযোগী সংগঠনগুলি। এই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীসহ দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে বলে আয়োজক সূত্রে খবর। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ নয়, প্রতিবেশী রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদেরও আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে জানানো হয়েছে আরএসএস।
আরও পড়ুন: যত এগিয়ে আসছে ভোট, তত অস্বস্তি বাড়ছে রাজ্য BJP-র অন্দরে!
আরএসএস নেতা বিপ্লব রায় জানিয়েছেন, “২০২২ সালে গীতা পাঠের আসর প্রথম শুরু হয়েছিল মায়াপুরে। তারপর কলকাতা ও শিলিগুড়িতে এর আয়োজন করা হয়। মানুষের বিপুল সাড়ার কথা মাথায় রেখেই এবার ব্রিগেডে ৫ লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ হবে। নির্বাচনের আগে রাজ্যের প্রতিটি জেলায়, এমনকি গ্রামাঞ্চলেও, মানুষ নিজ নিজ উদ্যোগে গীতা পাঠের আসর বসাবেন।”
রাজনৈতিক মহল বলছে, এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে হিন্দু ভোটারদের একত্রিত করার চেষ্টা করছে বিজেপি। ব্রিগেড ময়দান, যে মাঠ একসময় বাম আন্দোলনের প্রতীক ছিল, যেখানে বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের সংবর্ধনা থেকে শুরু করে গণআন্দোলনের ইতিহাস রচিত হয়েছে, সেই ময়দানেই এবার ধর্মীয় আবহে রাজনীতি গরম করতে চাইছে বিজেপি ও আরএসএস।
রাজনীতিবিদদের একাংশের মতে, ধর্মীয় আবেগ উসকে ভোটের আগে জনসমর্থন বাড়ানোর প্রচেষ্টাই এর মূল উদ্দেশ্য। অন্যদিকে আয়োজকরা বলছেন, “এটি কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, গীতা পাঠের মাধ্যমে সমাজে শান্তি, ঐক্য ও আধ্যাত্মিক চেতনা ছড়িয়ে দেওয়াই লক্ষ্য।” এখন দেখার, ডিসেম্বরের সেই ব্রিগেড সমাবেশ কতটা ধর্মীয় ভক্তিতে ভরে ওঠে, আর কতটা রাজনীতির মঞ্চে রূপ নেয়।
দেখুন আরও খবর: