কলকাতা : মামলার গেরোয় থমকে গেল উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ। কমিশনের কাছে উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে অভিযোগের পাহাড় জমা হয়েছে। এই সব অভিযোগের নিষ্পত্তির জন্য আরও ৩ মাস সময় বরাদ্দ করল হাই কোর্ট। ফলে, আপাতত বন্ধ থাকবে নিয়োগ সুপারিশ। ফের এই মামলার শুনানি হবে ১৫ সপ্তাহ পর। এদিন হাই কোর্ট নির্দেশে দিয়েছে, এই সমস্ত অভিযোগ শিক্ষা দফতরের সহ অধিকর্তা নিষ্পত্তি করবেন। এই নির্দেশ বিচারপতি সৌমেন সেন ডিভিশন বেঞ্চের।
জুন মাসে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, পুজোর আগে আপার প্রাইমারিতে ১৪ হাজার এবং প্রাথমিকে ১০ হাজার ৫০০ শিক্ষক নিয়োগ হবে। এই সাড়ে ২৪ হাজার শিক্ষক পুজোর আগেই কাজে যোগ দেবেন। পুজোর পর আরও ৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। ২২ জুন প্রকাশিত হয় আপার প্রাইমারি স্তরে শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ তালিকা। ১৪ হাজার ৩৩৯ জন প্রার্থীকে ইন্টারভিউয়ে ডেকেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন।
আরও পড়ুন – কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ফেব্রুয়ারিতে গোটা রাজ্যে একসঙ্গে পুরভোট চাইছে বিজেপি
অন্যদিকে, ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশের পরেই অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন বেশ কয়েক জন উচ্চ মাধ্যমিক চাকরি প্রার্থী। তাঁদের অভিযোগ, কম নম্বর পাওয়া অনেকের নামই তালিকায় ঠাঁই পেলেও বেশি নম্বর পাওয়া অনেক প্রার্থীই বাদ গিয়েছে। ইন্টারভিউয়ের তালিকায় মোট নম্বরের উল্লেখ নেই বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা। স্কুল সার্ভিস কমিশনের সদর দফতরের সামনে দফায় দফায় বিক্ষোভও দেখান চাকরি প্রার্থীরা। কিন্তু এসএসসি-র তরফে কোনও সদুত্তর না মেলায় আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা।
আরও পড়ুন – মেট্রো ডেয়ারি দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে চাপ বাড়াচ্ছে কংগ্রেস,বিজেপি
এরপর উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট৷ জানিয়ে দেয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া৷ এরপর মামলা সিঙ্গেল বেঞ্চ থেকে ডিভিশন বেঞ্চে যায়। তবে, মামলার কোনও নিষ্পত্তি হয় না। বুধবার আবারও নিষ্পত্তি হল না এই মামলার। একগুচ্ছ অভিযোগের কারণে আরও চার মাস পিছিয়ে গেল শুনানি।