কলকাতা: এবার সংযোগ যাত্রায় (Sanyog Yatra) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (AbhishekBanerjee)। ২৫ এপ্রিল থেকে শুরু হবে ওই যাত্রা। বুধবার নবান্নে (Nabanna) সাংবাদিক বৈঠকে মুথ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (MamataBanerjee) অভিষেকের ওই কর্মসূচির কথা জানান। তিনি জানান, দুমাস ধরে জেলায় জেলায় অভিষেকের নেতৃত্বে তৃণমূলের (TMC) ওই সংযোগ কর্মসূচি চলবে। মমতার এই ঘোষণার পরই রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি আগামী দুমাসের মধ্যে পঞ্চায়েত ভোট হবে না। তৃণমূলের অন্দরের খবর, এই যাত্রার পর ভোট করা হবে। এই দুই মাস জনসংযোগ যাত্রার মাধ্যমে জেলায় জেলায় মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে দল। দুয়ারে সরকার শিবির করেও মানুষের ক্ষোভ সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। তাই এবার গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে জনসংযোগ যাত্রার উপর।
এদিন নবান্নে বসে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি অভিষেককে বলেছিলাম, এই গরমে এ ধরনের কর্মসূচি না করাই ভালো। ও জেদ ধরল। বলল, না এটা করতেই হবে। তখন আমি বলি, ঠিক আছে কর। গরমে কম লোক হলেও অসুবিধা নেই। ছোট ছোট সভা হবে। মিছিল হবে জেলায় জেলায়। এদিকে অভিষেক ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল কোচবিহারে থাকছেন। জেলার ১৮৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে নিয়ে বৈঠক করবেন তিনি। জেলার দিনহাটা, মাথাভাঙা, তুফানগঞ্জে সাংগঠনিক বৈঠকেও উপস্থিত থাকবনে দলের সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল অভিষেকের দলীয় কর্মসূচি রয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলায়।
আরও পড়ুন:Mamata Banerjee| Suvendu Adhikari | নাম না করে শুভেন্দুকে তীব্র আক্রমণ মমতার
তৃণমূল সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, মমতা এদিন নবান্নে বসে অভিষেকের যে জমসংযোগ যাত্রার কর্মসূচি ঘোষণা করলেন, তার সূচনা হবে কোচবিহার থেকেই। গত ২৯ মার্চ শহীদ মিনার ময়দানের জনসভা থেকে অভিষেক হুমকি দিয়েছিলেন, আগামী ১৫দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার একশো দিনের কাজের টাকা না ছাড়লে লক্ষ শ্রমিক নিয়ে দিল্লিতে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক ঘেরাও করা হবে। সেই সময়সীমা কিন্তু শেষ হয়ে গিয়েছে। কবে দিল্লিতে ঘেরাও অভিযান হবে, তা বুধবার পর্যন্ত জানা যায়নি।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ভারত জোড়ো যাত্রা করে ব্যাপক জনসমর্থন পেয়েছিলেন। তবে তিনি কিন্তু এটিকে দলীয় কর্মসূচি হিসেবে পরিচিতি দেননি। বলা হয়েছিল, হিংসার বিরুদ্ধে ভালোবাসা এবং সম্প্রীতির লক্ষ্যেই তাঁর এই যাত্রা। সেই কারণেই যে সব রাজ্য দিয়ে রাহুলের যাত্রা গিয়েছে, সেই সব রাজ্যের বহু সাধারণ মানুষ এবং বিশিষ্ট মানুষ এই যাত্রায় শামিল হয়েছিলেন।