কলকাতা: বিতর্কের অবসান যেন হয়েও হচ্ছে না! সাংসদ তথা কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Kalyan Banerjee) নিয়ে পোস্টার বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না। হুগলির পর এ বার কলকাতা হাইকোর্ট। গত সপ্তাহে শ্রীরামপুর লোকসভার বিভিন্ন এলাকায় একাধিক পোস্টারে দাবি করা হয়েছিল, শ্রীরামপুরের জন্য নতুন সাংসদ চাই। কোথাও আবার ‘দিদি’ তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বিচার প্রার্থনা করা হয়েছিল। কে বা কারা সেইসব পোস্টার দিয়েছিল, তা অবশ্য জানা যায়নি। সোমবারও হুগলির বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায় সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একাধিক পোস্টার।
এ বার কল্যাণের কর্মক্ষেত্র কলকাতা হাই কোর্টে তৃণমূলপন্থী আইনজীবী সেলের সদস্যরা হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন সাংসদের বিরুদ্ধে। প্ল্যাকার্ড লেখা ছিল, ‘হাই কোর্টে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাদাগিরি মানছি না, মানবো না’; ‘সাধারণ আইনজীবীদের সঙ্গে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর্ব্যবহার মানছি না, মানবো না’; ‘কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বজনপোষণ মানছি না, মানবো না’। মঙ্গলবার সকালে আচমকা হাই কোর্টের বি গেটে এই দৃশ্য দেখে হতচকিত হয়ে যান হাই কোর্টে থাকা পুলিস, সাধারণ মানুষ। আদালতের সামনে এমন বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে রীতিমতো হইচই পড়ে যায়৷ এই বিক্ষোভ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি কল্যাণ।
তৃণমূল কংগ্রেসের আইনজীবীদের অভিযোগ, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় হাত ধরেই আদালতে সিন্ডিকেট রাজ চলছে৷ কল্যাণের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগেও সরব হন বিক্ষোভকারীরা। ‘কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় নিপাত যাক’ পোস্টার নিয়ে হাই কোর্টের কয়েকশো আইনজীবী বিক্ষোভ দেখান। এর আগে হুগলির বিভিন্ন এলাকায় কল্যাণের নামে পোস্টার পড়েছিল। তাতে লেখা ছিল- ‘দিদি তুমি বিচার কর, দাদা তুমি বিচার কর। মানুষ চায় বিচার হোক, এই পাপের মুক্তি দাও’; ‘আর নয় কল্যাণ, অ-কল্যাণের মুক্তি চাই। সুস্থ শহর, পরিচ্ছন্ন মানুষ চাই। নেশাখোর- তোলাবাজ- চরিত্রহীন আর নয়, আর নয়’। একাধিক জায়গায় সাংসদের কুশপুতুলও পোড়ানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: Kalyan Banerjee: নাম না করে কল্যাণকে বার্তা, শৃঙ্খলা ভঙ্গে কঠোর পদক্ষেপ, জানালেন পার্থ