কলকাতা: আসন্ন উপনির্বাচনে খড়দা কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়ে ভোটে জিততে আত্মবিশ্বাসী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়। সোমবার তিনি বলেন ‘এবার খড়দা থেকে লড়াই করব। সেখানেও জিতব।’
এই বছর বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের কেন্দ্র ভবানীপুর থেকে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। কারণ এই বছর নির্বাচনে নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু শেষমেশ বর্তমান বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী কাছে হেরে যান তৃণমূল সুপ্রিমো। তবে মমতা হারলেও তার কেন্দ্রে বিপুল ভোটে জয়ী হন কৃষিমন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বিপরীতে বিজেপি প্রার্থী ছিলেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ।
আরও পড়ুন: ভোট পর্ব শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভবানীপুরে ১৪৪ ধারা চাই, কমিশনে আর্জি বিজেপির
এই বছর নির্বাচনের সময় থেকেই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে করোনা পরিস্থিতি। নির্বাচনের আগেই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান খড়দার তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহা। এছাড়াও মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর সামশেরগঞ্জ কেন্দ্র দুটিতেও করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় দুই তৃণমূল প্রার্থীর। ফলে সেই সময় প্রার্থী দেওয়া সম্ভব হয়নি। তারপর রাজ্যে বিপুল ভোটে জিতলেও আসুন তিনটিতে নির্বাচন অধরা থেকে যায়। সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী কোন আসনে ভোট প্রক্রিয়া অসম্পূর্ণ থাকলে সরকার গঠনের ছয় মাসের মধ্যে সেখানেই নির্বাচন করাতে হয়। সেই রীতি মাথায় রেখেই আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর রাজ্যের তিনটি আসনে পুনরায় উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
আরও পড়ুন: ভবানীপুর জেতার পর অন্য রাজ্যেও যাব, দেশ ছাড়া করব বিজেপিকে: মমতা
নন্দীগ্রামে হলেও নিজের ঘরের মাঠ ভবানীপুরে প্রার্থী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন বিজেপির প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল ও সিপিএমের সৃজীব বিশ্বাস। তাই দলনেত্রী জায়গা ছেড়ে দিতেই সম্প্রতি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়। তারপর থেকেই জল্পনা চলছিল খড়দার খালি আসনেই তাকে প্রার্থী করা হতে পারে। অবশেষে সেই জল্পনার অবসান। প্রয়াত কাজল সিনহার কেন্দ্রে জিতে আসার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী শোনা গেল প্রবীণ এই তৃণমূল নেতার গলায়।