কলকাতা: বাংলাদেশি সন্দেহে গ্রেফতার হয়েছেন মডেল শান্তা পাল (Shanta Paul)। অভিযোগ নৈহাটির যুবক অভিনেত্রী শান্তা পালকে অবৈধ নথি বানাতে সাহায্য করেছিল। বছর পঁয়ত্রিশের অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখা। ধৃত যুবকের নাম সৌমিক দত্ত। নৈহাটি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল, পেশায় মডেল শান্তার বাড়ি বাংলাদেশের বরিশালে। গত কয়েক বছর ধরে যাদবপুরের কাছে বিক্রমগড়ে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন তিনি। বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে কলকাতায় এসে ভুয়ো আধার ও ভোটার কার্ড তৈরি করে ভারতে বসবাস শুরু করেছিলেন শান্তা পাল। পরবর্তীতে লালবাজারের গোয়েন্দাদের হাতে গ্রেফতার হন তিনি। এরপর জানা যায় ওই যুবতী একসময় বাংলাদেশের বিমান সংস্থায় চাকরি করলেও তিনি বাংলাদেশের নামী মডেল ছিলেন। ২০১৬ সালে বাংলাদেশের হয়ে ইন্দো বাংলা বিউটি প্রেজেন্টে যোগ দেন। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসাবে মিস এশিয়া গ্লোবাল হন। শুরু করেছিলেন অভিনয়ও। সেই সময়ই যোগ দেন বাংলাদেশের বিমান সংস্থায়। পুলিশ সূত্রে খবর, এ দেশে এসে তেলুগু ছবিতে কাজ করেন শান্তা। কী ভাবে সেই সুযোগ মিলেছিল, তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। শুধু তাই নয় পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, কলকাতায় গাড়ি ভাড়া দিতেন তিনি। পর্যটকদের ঘোরানোর ব্যবসাও করতেন।
আরও পড়ুন: ২৬-এর নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসবেন অভিষেক
গোয়েন্দারা জানান, পার্ক স্ট্রিট থানা এলাকার এক বাসিন্দার সঙ্গে পর্যটনের ব্যবসার সূত্রে পরিচয় হয় শান্তার। ওই ব্যক্তি পরে অভিযোগ করেন যে, বাংলাদেশের নাগরিক শান্তা সে দেশের পাসপোর্ট নিয়ে ভারতে এসে ভারতীয় পরিচয়পত্র বানিয়ে শহরে থাকছেন। এর পরেই শান্তাকে গত সোমবার গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, গত জুলাই মাসেই শান্তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। তার পরেও কেন তিনি এ রাজ্যে থেকে গিয়েছেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় শান্তা জানিয়েছেন, রাজ্য শান্তিপূর্ণ জায়গা, তাই তাঁর এখানে থাকতে ভাল লাগে। পুলিশি জেরায় নিজেকে বিবাহিত বলেও দাবি করেছেন শান্তা। সেই তথ্যও যাচাই করে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
বিক্রমগড়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে দু’টি আধার কার্ড, একই আধার নম্বরে দু’টি কার্ড পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তার মধ্যে একটির ঠিকানা কলকাতার, অন্যটিতে বর্ধমানের এক ঠিকানার উল্লেখ রয়েছে। উদ্ধার হয়েছে বেশকিছু নথিও। এ ছাড়া বর্ধমানের ঠিকানায় শান্তার নামে একটি ভোটার কার্ডও পাওয়া গিয়েছে। তদন্তে নেমে সৌমিক দত্তের খোঁজ পায় পুলিশ। সূত্রের খবর, ভুয়ো নথি তৈরিতে এই যুবকই সহযোগিতা করেছিল ওই অভিনেত্রীকে। নৈহাটি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
দেখুন ভিডিও